করোনা আবহে বিক্রি তলানিতে, এর উপর বাজি বন্ধের মামলার খবর পেয়ে আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আবহে এমনিতেই বিক্রি তলানিতে তার উপর বাজি বন্ধের মামলার খবর পেয়ে রীতিমত আতঙ্কিত বাজি ব্যবসায়ীরা। কোভিড পরিস্থিতিতে বন্ধ থাকবে বহু বাজি বাজার। এই আতঙ্কে মামলা রায়ের অপেক্ষায় বাজি বিক্রেতারা।
কালী পুজোয় বাজি বিক্রির জন্য ফ্রেব্রুয়ারি থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন বাজি কারখানার মালিকরা। দেশি বিদেশি মশলা আমদানি করে তার কয়েকমাস থেকেই কাজ শুরু করে দেন বাজি প্রস্তুতকারকরা।
দুর্গাপুজোর আগে থেকেই বজবজ নুঙ্গির বাজি পাড়ায় দোকানগুলো সেজে ওঠে রঙবেরঙের আতশবাজিতে। এবছরেও তাই হয়েছিল। বাধ সেধেছে বাজি বন্ধের মামলার খবর।
কোভিড পরিস্থিতি মানছেন বাজি প্রস্তুতকারকরাও। তাদের যুক্তি লকডাউন শুরুর পর প্রায় আট মাস কেটে গিয়েছে। অথচ কোনো চিকিৎসক সংগঠন বা রাজ্যসরকারের পক্ষ থেকে বাজি প্রস্তুতি বিপদজনক এমন ইঙ্গিত দেয়নি।
বাজি বিক্রেতাদের আফসোস প্রস্তুতি বন্ধ থাকলে ক্ষতির অঙ্ক অনেকটাই সামাল দেওয়া যেত। কিন্তু এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার কোন সুযোগ নেই।
সাধারণত লক্ষ্মী পুজোর পর বাজি পাড়ায় ভিড়ের জন্য মাইকে ঘোষণা করে গাড়ি সরাতে হয়। এবার বাজি পাড়ার সরু রাস্তা খালি। চেনা ক্রেতারা জানিয়েছেন, হাইকোর্টে মামলার ফল দেখেই তারা বাজি কিনতে আসবেন।
এই পরিস্থিতিতে বাজি এস্যোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জনস্বার্থ মামলায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের যুক্তি গত এপ্রিল মাসেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের পরিবেশ বান্ধব বাজি তৈরির ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।
সেইমতো বাজি বানিয়েও তাদের বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছে। আপাতত রাজ্য সরকারের সাহায্যের দিকে তাকিয়ে বাজি বিক্রেতারা।