বিয়ের পর বউ-কে পরপুরুষের বিছানায় যেতে বাধ্য করছে স্বামীরাই!
এ এক কদর্য ছবি! পেটের দায়ে বিকোচ্ছে স্বপ্ন। আশা ছিল বিয়ের পর সুখে শান্তিতে স্বামীর ঘর করার। কিন্তু, বাস্তবে ‘পরপুরুষে’র চাহিদা মেটাতে মেটাতেই জীবন পার। এই পরিস্থিতিতে রয়েছেন বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের সিংহভাগ পতিতাই।
বাংলাদেশে দেহব্যবসা বেআইনি নয়। যেমন বেআইনি নয় বাল্যবিবাহও। আর এই দুটি বিষয় আঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত বলে জানাচ্ছে ব্রিটিশ পত্রিক দ্য টেলিগ্রাফ।
দ্য টেলিগ্রাফ-এর দাবি, বাংলাদেশে যুবতী ময়েদের বিয়ে করে তাঁদের দেহ ব্যবসায় নামিয়ে দিচ্ছে পুরুষরা। টাঙ্গাইলে সে দেশের সবথেকে বড় যৌনপল্লীতে দিনের পর দিন ঘটছে এই ঘটনা। আর সেটা হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগাতেই। পুলিস এখানে সব দেখেও ‘অন্ধের ভূমিকা’ নিয়েছে।
১৯ বছর বয়সী রূপা বেগম দ্য টেলিগ্রাফ-কে জানিয়েছেন, বরের অত্যাচার তো রয়েইছে, এরপর গ্রাহকদের নির্যাতনের শিকারও হতে হয় তাঁকে। নিজের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে তিনি জানান, এমন অনেকবারই হয়েছে- গ্রাহকের মারে হাতে কালশিটে পরে গেছে। কিন্তু অন্য গ্রাহক যাতে সেটা বুঝতে না পারেন, সে জন্য ওই ব্যথার জায়গা হাত দিয়ে মালিশ করে সামলে নিতে হয়।
রূপার মতো কাজল, ময়নাদেরও অবস্থা একই। তাঁরাও এমন নির্যাতনের শিকার।
কাজল, ময়নাদেরও কথায় যৌনপল্লীতে সবাই নাকি খুব উত্তেজিত থাকে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিশ্বের একমাত্র সংখ্যাগড়িষ্ঠ মুসলিম দেশ, যেখানে দেহব্যবসা বৈধতা পেয়েছে।
বাংলাদেশে ২০টি এমন যৌনপল্লী আছে, যেখানে অন্তত ১০ হাজার নারী, দেহ ব্যবসায় যুক্ত।