৬৬ বছরের বুড়ো সেতু এখনও কতটা `জওয়ান` আছে? স্বাস্থ্যপরীক্ষায় বন্ধ যান চলাচল
নিজস্ব প্রতিবেদন : ৬৬ বছরের প্রবীণ সেতু। এখনও কতটা শক্তসামর্থ্য রয়েছে সে, নাকি রোগের ঘুণপোকা বাসা বেঁধেছে শরীরে। খতিয়ে দেখতে অবশেষে শুরু হয়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজের সেতু পরীক্ষার কাজ।
সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল দুর্গাপুর ব্যারেজের উপর দিয়ে যান চলাচল। এবার আজ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকছে দুর্গাপুর ব্যারেজের উপরের রাস্তা দিয়ে যান চলাচল।
দামোদর নদের উপর নির্মিত দুর্গাপুর ব্যারেজের সেতু সিমেন্ট দিয়ে তৈরি। সেই সিমেন্টের ঢালাই এখন ৬৬ বছরের প্রবীণ। ব্যারেজ তৈরির পর, নিয়ম অনুযায়ী ৬০ বছর পর সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার প্রয়োজন ছিল।
অবশেষে ৬৬ বছর পর সেই স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ২ বার ব্যারেজের লকগেট ভেঙে বিপত্তি দেখা দিয়েছে। এখন সেতুর ঢালাইয়ে কোনও রকম সমস্যা দেখা গেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
সেই আশঙ্কা থেকেই অবশেষে তড়িঘড়ি স্বাস্থ্যপরীক্ষা। রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারি সারাদিন যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রেখে সেতুর উপর ওজন চাপিয়ে পরীক্ষা করা হবে।
এখন এই সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৭ থেকে প্রায় ৮ হাজার ভারী গাড়ি যাতায়াত করে থাকে।
উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালে দামোদরের উপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ১৯৫৫ সালে শুরু হয় এই ব্যারেজের উপর যান চলাচল। তত্কালীন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি সর্বোপল্লী রাধাকৃষ্ণন সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, সেচ দফতর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেই সেতু বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেচ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় সিং বলেন, সমস্যা কিছুটা হলেও সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য যান চলাচল বন্ধ করতেই হত। এলাকার মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর রেখেছে পুলিস প্রশাসন।