উত্তরপ্রদেশের `কাঁটা` সরে গেলে প্রত্যাবর্তন মোদীর, বলছে সি ভোটারের সমীক্ষা
মধ্যপ্রদেশে একা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বহুজন সমাজ পার্টির সুপ্রিমোর মায়াবতী। বসপার সহ-সভাপতি রামজি গৌতম জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশের সব লোকসভা আসনে তাঁরা একা লড়াই করার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপা জোট না হলে লাভবান হবে বিজেপি, এমনটাই উঠে এল সি ভোটারের সমীক্ষায়।
সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, ছত্তীসগঢ়ে ১১টির মধ্যে ৫টি, রাজস্থানে ২৫টির মধ্যে ১৯টি ও মধ্যপ্রদেশে ২৯টির মধ্যে ২৩টি জিততে পারে বিজেপি। এই তিনটি রাজ্যে হতশ্রী ফল হলেও কেন্দ্রে মোদীকেই চাইছেন ভোটদাতারা।
উত্তরপূর্ব ও পূর্ব ভারতে বিজেপির ভাল ফলের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত সি ভোটারের সমীক্ষার। ওডিশায় ২১টির মধ্যে ১৫টি জিততে পারে বিজেপি। বিহারে ৪০টির মধ্যে ৩৫টি জিততে পারে এনডিএ জোট। বলে রাখি, এই রাজ্যে নীতীশের সঙ্গে আসন সমঝোতা পাকা করে ফেলেছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৫টি যেতে পারে বিজেপির ঝুলিতে।
তবে দাক্ষিণাত্যে এখনও দু্র্বল বিজেপি। দেশের এই অঞ্চলে বিজেপি ধাক্কা খেতে চলেছে। দক্ষিণের ১২৫টি আসনের মধ্যে মাত্র ১৫টি আসন পেতে পারে গেরুয়া শিবির। আর বিজেপিকে দাক্ষিণাত্যে বেগ দিচ্ছে ইউপিএ। ৮০টি আসন পাচ্ছে তারা। কেরলেও দারুণ ফল করতে চলেছে কংগ্রেস।
দাক্ষিণাত্যের সঙ্গে পশ্চিমপ্রান্তেও বিজেপির অবস্থা সঙ্গিন। গুজরাটে ২৬টির মধ্যে ২৪টি আসন বিজেপির পক্ষে গেলেও মহারাষ্ট্রে ধাক্কা খেতে চলেছে তারা। মরাঠাভূমে ৪৮টির মধ্যে মাত্র ১৮টি আসন পেতে চলেছে বিজেপি।
তবে খেলার চাবকাঠি থাকছে বুয়া-ভাতিজার হাতেই। সপা-বসপা জোট না হলে বিজেপি উত্তরপ্রদেশে পেতে পারে ৭২টি আসন। কিন্তু জোট হলে সেটাই এক ধাক্কায় নেমে আসবে ২৮-এ। তারা জোট করলে ৭২টি আসন পেতে পারে বলে মত সি ভোটারের সমীক্ষার। ফলে উত্তরপ্রদেশের সমীকরণই চিন্তায় রাখছে বিজেপিকে। মায়াবতী কি সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট করবেন? সেটাই বড় প্রশ্ন। বিজেপি নেতৃত্বের আশা, সপা-বসপা জোট জল্পনা শেষ মুহূর্তে ভেস্তে যেতে পারে।
সি ভোটারের সমীক্ষা বলছে, ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশে মহাজোট না হলে ২৯১টি আসন পেতে চলেছে এনডিএ। অর্থাত্ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকারে আসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু জোট হলে ২৪৭টি আসনেই থেমে যেতে হবে এনডিএ-কে। সেক্ষেত্রে নতুন শরিক খুঁজতে বেরোতে হবে মোদী-শাহকে। এক্ষেত্রে তেলেঙ্গানার টিআরএস ও তামিলনাড়ুর এআইএডিএমকে শরিক হতে পারে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। যদিও ফেডারেল ফ্রন্টের লক্ষ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন কেসিআর।