Ganesh Chaturthi : `যত বড়ই হই, পা থাকুক মাটিতে`, গণপতি আরাধনার পর বললেন টেলি অভিনেত্রী ত্রমিলা
সংসার সামলে নিজের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সেরে সমান তালে তিনি বাংলা ধারাবাহিকে অভিনয় করে আসছেন, টেলি জগতে নিজের আলাদা পরিচিতিও তৈরি করেছেন অভিনেত্রী ত্রমিলা ভট্টাচার্য। ৯-এর দশকে ত্রমিলা অভিনীত প্রথম ধারাবাহির 'সীমারেখা'। তারপর একের পর এক ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। ২০১২ সাল থেকে সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো করে আসছেন, এবারও তার অন্যথা হল না। পুজোর সমস্ত রকম আয়োজনও নিজেই করেন টেলি পর্দার পরিচিত মুখ অভিনেত্রী ত্রমিলা ভট্টাচার্য।
পুরোহিত দিয়ে নয়, সিদ্ধিদাতার পুজো নিজেই করেন ত্রমিলা। যদিও এবার তা সম্ভব হল না, এবছর ত্রমিলার বাড়ির পুজো পুরোহিতই করলেন। পুজোর সঙ্গে ছিল ভোগ রান্নাও। আর তাতে ছিল কড়াইশুটির কচুরি, আলুরদম, সাদা ভাত, ছোলার ডাল, পটলের দোরমা, ধোঁকার ডালনা, চাটনি, পাপড় এবং সঙ্গে মিষ্টিমুখ তো আছেই।
জীবনে গণেশ পূজোর মাহাত্ম্য এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ত্রমিলা ভট্টাচার্য বলেন, আমার জীবনে গনেশ ঠাকুর বিভিন্ন ভাবে যুক্ত। শুধুমাত্র বাড়ির পুজো নয়, যে সমস্ত ক্লাব এবং সংগঠন গণেশ পুজো করেন তাঁরা বেশিরভাগ সময় আমাকে সেই গণেশ পুজোর উদ্বোধনের জন্যও ডাকেন।
অভিনয় জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে ত্রমিলা জানান, শুধুমাত্র ৯ দশকের নয়, পরবর্তীকালেও বহু ধারাবাহিকে আমি কাজ করছি। বিয়ের পর মাঝখানে কিছুটা বিরতি নিলেও আবার অভিনয় জগতে ফিরে এসেছি। কিন্তু এরমধ্যেও আমি পড়াশোনা করেছি এবং আইটি সেক্টরে কাজ করেছি।
যাঁরা অভিনয় জগতে একেবারে নতুন তাঁদের আপনি কী বলবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ত্রমিলা বলেন, 'নতুন যাঁরা আসছেন তাঁদেরকে আমি বলব, তাঁরা যেন একটু ধৈর্য্য ধরেন। বর্তমানে বেশিরভাগ নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে একটা বিষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অল্প কাজ করেই তাঁরা ভেবে নেন যে অনেক কিছু পেয়ে গেছি। কিন্তু ভবিষ্যৎ আমরা কেউ দেখিনি। তাই মাটিতে পা রেখে চলা উচিত।