UEFA Euro: টুর্নামেন্টের ইতিহাসে যে গল্পগুলো আজও অনেকেরই অজানা

Mon, 21 Jun 2021-9:54 pm,

চলতি ইউরো কাপে '১২' নম্বর সংখ্যার রয়েছে আলাদা তাৎপর্য: করোনা আবহে এক বছর পিছিয়ে যাওয়া ইউরো কাপের (UEFA EURO 2020) শুভারম্ভ হয়েছে গত ১২ জুন। রোমের স্টেডিয়ো অলিম্পিকোতে তুরস্ক বনাম ইটালি ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠেছিল চলতি ইউরোর। এবারের টুর্নামেন্টে '১২' নম্বর সংখ্যার রয়েছে আলাদা তাৎপর্য। এক বছর পিছিয়ে যাওয়া মানে ১২ মাস। এবার উয়েফা তাদের প্রথম ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের (তখন নাম ছিল ইউরোপিয়ান ন্যাশনস কাপ) ৬০তম বার্ষিকী উদযাপন করছে। যা ১৯৬০ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিশেষ বছরে একটি দেশে টুর্নামেন্টকে সীমাবদ্ধ না রেখে ১২ টি দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার ভাবনাই নিয়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। খেলা হচ্ছে ১২টি শহরে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে। টুর্নামেন্ট শেষ হবে ১২ জুলাই।

গ্রিস বনাম পর্তুগাল: ২০০৪ সালে ইউরো কাপের আয়োজন করেছিল পর্তুগাল। গ্রুপ 'এ'-তে থাকা পর্তুগাল ও গ্রিস উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল। কেউ ভাবতে পারেনি যে গ্রিস ফাইনাল খেলবে এবং সেটাও পর্তুগালের সঙ্গে। ফাইনালে গ্রিস ১-০ হারিয়ে দিয়েছিল পর্তুগালকে। যা ইউরোর ইতিহাসে অন্যতম বড় অপ্রত্যশিত আঘাত হিসেবেই লেখা থাকবে। পর্তুগাল একমাত্র ইউরোর আয়োজক দেশ যারা ফাইনালে উঠেও হেরেছিল। 

ইউরো ট্রফি: উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি হেনরি ডোলনি ট্রফি নামে পরিচিত। উয়েফার প্রথম সাধারণ সচিবের নামে ট্রফির নামকরণ করা হয়েছিল। হেনরি ডোলনির মাথায় প্রথম ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ভাবনা এসেছিল। যদিও তিনি পরিকল্পনা করেও নিজের চোখে তা বাস্তবায়িত হওয়া দেখে যেতে পারেননি। ১৯৬০ সালে প্রথম ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ার ৫ বছর আগেই তিনি মারা যান। এই ট্রফির ওজন ৮ কিলো। উচ্চতা ৬০ সেন্টিমিটার।

 

মিশেল প্লাতিনির অনন্য নজির: ফ্রান্সের কিংবনদন্তি প্লাতিনিই একমাত্র ফুটবলার যাঁর ইউরো কাপে জোড়া হ্যাটট্রিক আছে। ১৯৮৪ সালে ফ্রান্স ইউরো কাপের আয়োজন করেছিল। প্লাতিনির নেতৃত্বে দেশের মাটিতে ইউরো জেতে ফ্রান্স। প্লাতিনি ৫ ম্যাচে ৯ গোল করেছিলেন। তার মধ্যে ছিল জোড়া হ্যাটট্রিক। বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করার তিন দিনের মধ্যে যুগোস্লাভিয়ার বিরুদ্ধেও প্লাতিনি হ্যাটট্রিক করেন গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে। 

রেকর্ড সংখ্যক দর্শক: ১৯৬৮ সালের ইউরো কাপ হয়েছিল ইটালিতে। টুর্নামেন্টের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। সেবার হোম এবং অ্যাওয়ে ভিত্তিতে রাউন্ড রবিন ফর্ম্যাটে খেলা হয়েছিল। ১ লক্ষ ৩০ হাজার দর্শক এসেছিলেন স্কটল্যান্ড-ইংল্যান্ড ম্যাচ দেখতে।

গোল বন্যার ম্যাচ: ১৯৬০ সালে ফ্রান্সে প্রথমবার ইউরোর আসর বসেছিল। সেমিফাইনাল ম্যাচে ফ্রান্স মুখোমুখি হয়েছিল যুগোস্লাভিয়ার। এই ম্যাচে মোট ৯ গোল এসেছিল। যুগোস্লাভিয়া ৫-৪ জিতেছিল ফ্রান্সের বিরুদ্ধে। এখনও পর্যন্ত এর চেয়ে বেশি গোল কোনও ম্যাচে হয়নি।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link