জগন্নাথদেব ও সমুদ্র-সমেত পুরী এবার উল্টোডাঙায়
করোনা-আবহে ট্রেনের টিকিট কাটা, ট্রেনে ওঠা, নির্ঝঞ্ঝাট সমুদ্র-উপভোগ, নির্বিবাদ দেবদর্শন সেরে নিরাপদে ঘুরে আসা এবার এক ঝক্কি। তার উপর সদ্য সে দেশ জানিয়ে দিয়েছে হচ্ছে না রথযাত্রাও। তা হলে আর এত কাণ্ড করে পুরী গিয়ে কী হবে?
তার চেয়ে আসুন না কেন, রথাযাত্রার দু'দিন আগে কলকাতায় বসেই সেরে নেওয়া যাক জগন্নাথ দর্শন। অবিকল পুরীর মন্দির পাবেন, জগন্নাথের দর্শন পাবেন, মায় পুরীর সৈকত (দেওয়ালচিত্রে) পর্যন্ত পাবেন।
কোথায়? আপনার হাতের কাছেই। আপনাকে শুধু কষ্ট করে চলে আসতে হবে। কলকাতার উল্টোডাঙায়। মুচিবাজার পোস্ট অফিস মোড়ে। এখানে এলেই পেয়ে যাবেন ২০২১ সালের রথযাত্রার কমপ্লিট প্যাকেজ।
হুবহু পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের আদলে ৩২ ফুট লম্বা জগন্নাথ মন্দির। পুরীর মন্দিরের সিংহদ্বারের আদলে এই মন্দিরের সিংহদ্বার। পুরী মন্দিরে জগন্নাথমূর্তি তৈরি করেন যে পান্ডারা তাঁদের বংশধরদের দিয়েই ৩০০ কেজি নিম কাঠের তৈরি এই মন্দিরে পাঁচ ফুট উচ্চতার জগন্নাথমূর্তি তৈরি করানো হয়েছে। পুরীর স্থাপত্য কারুকার্য এই মন্দিরেও খোদিত।
করোনার জন্য পুরী না গিয়েও রথযাত্রায় প্রার্থনা করতে পারবেন ভক্তরা এই মন্দিরে। নিবেদন করা হবে ছাপান্ন ভোগ। মন্দিরের কারিগর বড় দুর্গা খ্যাত মিন্টু পাল। ১০ জুলাই সাধারণ মানুষের জন্য কোভিডবিধি মেনে এই মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হবে।