UN Public Service Day 2021: করোনা-পর্বে দিনটি যেন আরও বেশি তাত্পর্যময়
প্রতি বছর ২৩ জুন আন্তর্জাতিক জনসেবা দিবস উদযাপিত হয়। মূলত জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাবনা ও তত্ত্বাবধানে পালিত হয় বলে এ দিনটি জাতিসঙ্ঘ জনসেবা দিবস (United Nations Public Service Day) নামে পরিচিত। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০১৭ সালে দিনটিকে জাতীয় জনসেবা দিবস নামে পালন করা হয়।
২০০২ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, প্রতি বছর ২৩ জুন তারিখে জনসেবা দিবস পালন করা হবে। এবং এর ফলশ্রুতিতে ২০০৩ সালে সর্বপ্রথম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দিনটি পালিত হওয়া শুরু হয়।
দিনটির অবশ্যই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আছে। মানবগোষ্ঠীর প্রতি কর্ম ও সেবার যে গুরুত্ব তাকে তুলে ধরাই দিনটির অন্যতম উপজীব্য। সার্বিক মানবোন্নয়নে এই সেবা ও পরিষেবার যে অপরিসীম মূল্য সেটা সংশ্লিষ্ট মহলের মনে রাখা ও অন্যদের মনে করানোর জন্যই এমন একটি দিনের ভাবনা।
সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থায় যাঁরা পাবলিক সার্ভিসে আছেন তাঁদের সম্মান দেওয়া এবং তরুণ প্রজন্মও যাতে আগামি দিনে পাবলিক সেক্টেরের প্রতি আকৃষ্ট হয় সেটা দেখাও এদিনের লক্ষ্য। এ দিনটি অন্যান্য বছর বর্ণাঢ্য র্যালি, শোভাযাত্রা বের করা হয়। থাকে আলোচনা ও অনুষ্ঠানের আয়োজন। এদিন সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত কৃতি ব্যক্তিবর্গকে শংসাপত্র দেওয়া হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের অবদানের জন্য পুরস্কৃতও করা হয়। তবে অতিমারী-আবহে এবার এরকম ভাবে উদযাপনে বিধিনিষেধ আছে।
প্রত্যেক বছরই দিনটির থিম থাকে। এ বছরের থিম হল-- Innovating the Future Public Service: New Government Models for a New Era। আগামি দিনের মানুষকে পরিষেবা দানের নতুন পরিকল্পনা; নতুন যুগের নতুন মডেল।
এ ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টিও আছে। এক সঙ্গে বহু মানুষের কাছে পরিষেবা নিয়ে যেতে গেলে প্রযুক্তির দ্বারস্থ হতেই হয়। তাই public service-এর ক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে যথোচিত গুরুত্ব দেওয়াটাও জরুরি। তবে এ বছরের সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, এই করোনা-পর্বে কী ভাবে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং রক্ষা করেও সমাজের সব ধরনের সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে জরুরি পরিষেবাগুলি নিয়ে যাওয়া যায়।