McDonald`s-এ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুমোতে যাচ্ছেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ!
আচ্ছা বলতে পারেন, ম্যাকডোনাল্ডস-এর (McDonald's) আউটলেটে এমন কী খাবার পাওয়া যায়, যা খেলে ভাল ঘুম হয়! সেখানে এমন কোন খাবার পাওয়া যায়, যার টানে আর বাড়ি ফিরতে ইচ্ছে করে না! মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকা সত্ত্বেও অসংখ্য মানুষ রাতের পর রাত কাটাচ্ছেন ম্যাকডোনাল্ডস-এর আউটলেটে। কারণ একটাই, একটু শান্তিতে ঘুমোতে চান ওঁরা!
বিচিত্র শুনতে লাগলেও, এটাই সত্যি। হংকংয়ের ২৪ ঘণ্টা ম্যাকডোনাল্ডস আউটলেটগুলিতে অসংখ্য মানুষ বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে ঘুমোতেই যাচ্ছেন। দিব্য রাত কাটাচ্ছেন সেখানে। বেঘোরে ঘুমোচ্ছেন টেবিলে মাথা রেখেই!
সম্প্রতি একটি সংস্থা এই অদ্ভূত আচরণের কারণ খুঁজতে একটি সমীক্ষা চালায়। সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
হংকংয়ে ১১০টি ম্যাকডোনাল্ডস আউটলেটে যাঁরা রাত কাটাচ্ছেন, তাঁদের বেশিরভাগেরই কিন্তু বাড়ি-ঘর, মাথা গোঁজার একটা নির্দিষ্ট ঠিকানা রয়েছে। এঁরা প্রত্যেকেই কম-বেশি আয় করেন।
সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, জুন থেকে জুলাইয়ের মধ্যে শহরের ৩৩৪ জন পুরুষ ও মহিলা ম্যাকডোনাল্ডস-এ রাত কাটিয়েছেন। জানা গিয়েছে, হংকংয়ে ১১০টি ম্যাকডোনাল্ডস আউটলেটে তরুণ থেকে প্রবীণ—সকলেই রাত কাটাচ্ছেন নিশ্চিন্তে ঘুমানোর জন্য।
সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, এর কারণ হল, হংকংয়ের বর্তমান আর্থসামাজিক সমস্যা। শহরটিতে প্রতি বর্গফুট ঘরের দাম বর্তমানে গড়ে ১ হাজার ৭০০ মারকিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার কাছাকাছি)।
ম্যাকডোনাল্ডস-এ রাত কাটানো ৭০ শতাংশ মানুষ জানাচ্ছেন, তাঁরা নিত্যদিনের আকাশছোঁয়া খরচের চাপে নাজেহাল! কারও বাড়ি ভাড়া দেওয়ার মতো টাকা থাকে না। কারও গরম লাগলেও ঘরে এয়ারকন্ডিশনার ব্যবহার করার ক্ষমতা নেই। কেউ আবার অতিরিক্ত বিদ্যুতের বিল মেটাতে গিয়ে নাজেহাল। এমনই নানা সমস্যায় জর্জরিত মানুষেরা এখানে ভীড় করেন একটু শান্তিতে বিশ্রাম নেবেন বলে।