আপনার হাতেও কি আছে এমন ‘ক্রশ’ চিহ্ন? এর মানে জানেন?
হাতের রেখার যেমন গুরুত্ব আছে, তেমনি গুরুত্ব আছে হাতের রেখার মধ্যে লুকিয়ে থাকা চিহ্নেরও। আর তাই এই গুরুত্বের কথা ভেবেই এখনকার আলোচ্য বিষয় ক্রশ চিহ্ন বা বজ্র চিহ্ন। হিন্দু সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুযায়ী, এই চিহ্নকে বজ্র চিহ্ন বলা হয়। একমাত্র বৃহস্পতির স্থান ছাড়া বাকি আর সব ক্ষেত্রেই এই চিহ্ন থাকলে খারাপ ফলই মেলে।
মঙ্গলের ক্ষেত্রে ক্রশ চিহ্ন বা বজ্র চিহ্ন থাকলে জাতক স্বার্থপর, এক গুঁয়ে প্রকৃতির হয়। এজন্য এরা সারা জীবন প্রচন্ড বাধার সম্মুখীন হয়।
ক্রশ চিহ্ন বা বজ্র চিহ্ন শুক্রর স্থানে থাকলে জাতকের বিবাহিত জীবন সুখের হলেও প্রেমজীবনের উপর বিশেষ অশুভ প্রভাব বিস্তার করে থাকে। এছাড়াও এই জাতকের কলহপূর্ণ গোপন প্রেমে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল হয়।
বজ্র চিহ্নটি জাতকের বুধের স্থানে থাকলে জাতক শঠ, প্রবঞ্চক ও অবিশ্বাসী প্রকৃতির হয়। এরা চৌর্য বৃত্তির মাধ্যমে ধন-সম্পদ অর্জন করে থাকে।
বৃহস্পতির ক্ষেত্রে ক্রশ বা বজ্র চিহ্ন থাকলে জাতকের বিবাহিত জীবন সুখের হয়। এরা বিবাহের মাধ্যমে অর্থ ও সম্মান দু’ই লাভ করে থাকে। আর যদি এর সঙ্গে রবিরেখা ভাল হয় ও ভাগ্যরেখা চন্দ্র স্থানের দিকে উঠে আসে, তবে এদের বিবাহিত জীবন দারুন সুখের হয়।
বজ্র চিহ্নটি রাহু স্থানে ক্রশ থাকলে, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কারণে জাতকের মৃত্যু হতে পারে।
বজ্র চিহ্নটি যদি জাতকের করতলের কর ত্রিকোণের মধ্যে থাকে, তবে জাতক অহংকারী ও প্রভুত্ব প্রিয় হয়।
শনির স্থানে যদি বজ্র চিহ্ন থাকে, তাহলে জাতকের অপমৃত্যুর আশঙ্কা প্রবল।
বজ্র চিহ্নটি যদি চন্দ্র ক্ষেত্রে থাকে, তাহলে জাতক মিথ্যাবাদী হয়। এই চিহ্ন চন্দ্রের নিচের দিকে থাকলে জাতকের জলে ডুবে মৃত্যুর আশঙ্কা প্রবল।