শরীরচর্চার ধকল ছাড়াই ওজন কমাতে চান? তাহলে...
সারাদিন বসে বসে কাজ? বাড়তে থাকা ওজন নিয়ে চিন্তিত? দীর্ঘ সময় বাইকে চড়ে ঘোরাঘুরিতে ভুঁড়ি বাড়ছে? অতিরিক্ত ওজনের ফলে অল্পতেই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন? সর্দি-কাশিতে প্রায়ই ভুগছেন? এতগুলো সমস্যায় দ্রুত উপকার পেতে রোজ মধু খান। কী ভাবে মধু সেবনে শরীরচর্চার ধকল ছাড়াই অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন আসুন জেনে নেওয়া যাক।
রোজ সকালে উঠে উষ্ণ জলে মধু মিশিয়ে খেলে পাকস্থলির কর্মক্ষমতা অনেকটা বৃদ্ধি পায়। ফলে গ্যাস-অম্বল বা ওই জাতীয় হজমের সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। সেই সঙ্গে মধুতে উপস্থিত একাধিক পুষ্টিকর উপাদান অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। যাঁদের খাজের সূত্রে বেশিরভাগ সময়ই বাইরের খাবারে পেট ভরতে হয়, তাঁরা মধু সেবনের মাধ্যমে উপকার পেতে পারেন।
অতিরিক্ত ওজনের ফলে শরীরে নানা রকম রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। গোড়াতেই সতর্ক না হলে একটা সময়ের পর বাড়তি ওজন আর তার সঙ্গে বাড়তে থাকা আনুসাঙ্গিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেকে পারে। তাই রোজ সকালে উঠে উষ্ণ জলে কয়েক চামচ মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারলে তা হজমের সমস্যা কমিয়ে দ্রুত শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে।
একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত এক গ্লাস জলে সামান্য পরিমাণ মধু এবং দারুচিনি মিশিয়ে খেতে পারলে কোলেস্টেরলের মাত্রা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। একই সঙ্গে ধমনীর কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। ফলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
হঠাৎ ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি বা গলায় ব্যথা হলে এক গ্লাস গরম জলে কয়েক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে বার দুয়েক খেতে পারলে উপকার মিলবে। এ ছাড়াও, একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত এক গ্লাস উষ্ণ জলে মধু মিশিয়ে খেতে পারলে আমাদের আশেপাশে ঘুরে বেরানো পলেন বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারি উপাদানগুলি আমাদের উপর তেমন ভাবে কোনও প্রভাব ফেলতে পারে না।