দীর্ঘদিন অনিদ্রায় ভুগছেন? মুক্তি দেবে যোগাসন!
রাতে কি কিছুতেই ঘুম আসতে চায় না? ঘুম এলেও বার বার ভেঙে যায়? আর সকাল থেকে সারাদিন ক্লান্ত লাগে? এ সব কিছুই হয় অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম আর মানসিক চাপের কারণে। অষুধ নয়, রাতে ভাল ঘুম আনার সবচেয়ে ভাল উপায় শোওয়ার আগে যোগাসন। বিছানায় বসেই সহজে করে ফেলুন কয়েকটা আসন। তারপর ঘুমিয়ে পড়ুন শান্তিতে।
বলাসন: শিরদাঁড়া অনেক ক্ষণ সোজা রেখে বলাসন করলে শিরদাঁড়া, ঘাড় ও কাঁধে খুব আবাম বোধ হয়। হাঁটু মুড় বসুন। হাঁটু দুটো জড়ো করে রাখবেন না। এ বার হাত সামনের দিকে ছড়িয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন, কনুই থেকে যেন মাটির ওপর থাকে। এ বার মাথা ঝুঁকিয়ে শরীরের উপরিভাগ দুই উরুর মাঝে সামনের দিকে এগিয়ে দিন। এই বার মিনিট পাঁচেক ধরে লম্বা লম্বা শ্বাস নিন।
শবাসন: যে কোনও সময় যোগচর্চা শেষ করার সেরা আসন শবাসন। এই আসন মনোসংযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে সহজে ঘুম এসে যায়। পা আস্তে করে নামিয়ে বিছানায় রাখুন। হাতও রিল্যাক্সড করে শরীরের দু’পাশে ছেড়ে দিন বিছানায়। হাতের চেটো উপর দিকে খোলা থাকবে। চোখ বন্ধ করে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন। যতক্ষণ পারবেন এ ভাবে শান্ত ভাবে থাকুন।
পদ্মাসন (ইজি পোজ): ধ্যানের জন্য এই আসন আদর্শ। এই ভঙ্গি মনকে শান্ত করে আপনাকে ধ্যানের জন্য প্রস্তুত করবে। আরামদায়ক ভাবে বিছানায় বসুন। পদ্মাসনে বসে পিঠ সোজা রেখে, কাঁধ একটু পিছনের দিকে টান করে রাখুন। এ বার হাত হাঁটুর ওপর রেখে ৪-৫ মিনিট গভীর শ্বাস নিন।
পশ্চিমোত্তাসন (সিটেড ফরওয়ার্ড বেন্ড): হ্যামস্ট্রিং, কোমর ও শিরদাঁড়ার ব্যথার জন্য এই আসন খুব ভাল। পা সামনের দিকে ছড়িয়ে বসুন। হাত দু’পাশে রেখে শরীরের উপরিভাগ ধীরে ধীরে সামনের দিকে পায়ের ওপর ঝুঁকিয়ে দিন। ৫-১০ বার গভীর শ্বাসের পর কোমর, হ্যামস্ট্রিংয়ে স্ট্রেচ অনুভব করবেন।
বিটিলাসন: আসনটি শুরু করার আগে টেবিল যেমন থাকে সেই ভঙ্গিতে (হামাগুড়ি দেওয়ার ভঙ্গি) বসুন। মনে রাখবেন, কব্জি এবং কুনুই যেন একেবারে সোজা থাকে আর মাথা থাকবে একেবারে সোজা। দৃষ্টি থাকবে মাটির দিকে। এইবার পেটটা মাটির দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় বুকটা সিলিং-এর দিকে তুলুন। আর দৃষ্টি রাখুন একেবারে সোজা। শ্বাস-প্রাশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে রাখতে ৫-১০ মিনিট আসনটি করুন। দেখবেন ভালে ফল পাবেন।