#উৎসব: পুজো দেখবেন বাগবাজার থেকে বালিগঞ্জ; আর পেটপুজো করবেন কোথায়?
বাঙালি উৎসবপ্রেমী। পুজোর সময়ে বাঙালি দিন-রাত এক করে ঠাকুর দেখে। বাঙালি ভোজনরসিক। পুজোর সময়ে বাঙালি পেট পুরে খেতেও ভালবাসে। তাই তার ঠাকুর দেখা আর খাওয়া-দাওয়া প্রায় হাত ধরাধরি করেই চলে।
কলকাতার কী উত্তর, কী দক্ষিণ-- মোটামুটি সব জায়গাতেই বড় বড় পুজোর আশপাশে আছে বেশ কয়েকটি বিখ্যাত 'ইটারি', প্রাচীন বা হাল আমলের খাবারের জায়গা।
উত্তর কলকাতা হল আদি কলকাতা। তাই এই অঞ্চল দিয়েই শুরু করা যাক। আর এই আদি উত্তরের আদিতম জনপদের অন্যতম হল আহিরীটোলা, শোভাবাজার, কুমোরটুলি, বাগবাজার। বাগবাজার সার্বজনীন তো বাঙালির প্রাণের পুজো।
এখন, কেউ যদি, বাগবাজার দেখে কুমোরটুলি হয়ে, শোভাবাজার রাজবাড়ি এবং আহিরীটোলা সার্বজনীনের দিকে যান, তবে তাঁর কাছে খুলে যাচ্ছে এই অঞ্চলের প্রাচীন কিছু রেস্তোরাঁ। হাটখোলায় রয়েছে ধীরেন কেবিন। খুব বেশি মানুষ এই জায়গা জানেন না। এদের বিজ্ঞাপন নেই, কিন্তু মেজাজ আছে। এখানে দুজনের মোটামুটি ৩০০ টাকায় হয়ে যাবে।
এ ছাড়া এই অঞ্চলে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউর উপরে আছে 'মিত্র কাফে' বা 'অ্যালেনস কিচেনে'র মতো ইটারি। যেখানে খেতে দুজনের খরচ পড়বে ৪০০ টাকার মতো। কমেও হতে পারে।
এর পর যদি কেউ সেন্ট্রাল অ্য়াভিনিউ পেরিয়ে পূর্বের দিকে হাঁটা লাগান, তিনি সেখানে পাবেন শতদল, হাতিবাগান সর্বজনীন, নলিন সরকার স্ট্রিটের মতো পুজো এবং একটু বাঁদিকে শিকদার বাগানের পুজো বা একটু ডানদিকে কাশীবোস লেনের মতো পুজোও দেখতে পারবেন।
এখন হাতিবাগান-গ্রে স্ট্রিট অঞ্চলে অনেক খাবারের জায়গা। চেইন রেস্তোরাঁর মধ্যে আছে 'আরসালান', 'আমিনিয়া', 'করিম'স'। এ ছাড়া হাতিবাগানের নিজস্ব পুরনো কিছু জায়গা তো আছেই। এই সব জায়গার খাওয়ার খরচ মোটামুটি সকলেই জানেন। ১৫০০-২০০০ টাকার মতো।
আর পুজোয় বাঙালির চিরদিনের আকর্ষণের জায়গা--মহম্মদ আলি পার্ক, কলেজ স্কোয়ার, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। উত্তর থেকে বেরিয়ে একটু মধ্যশহরে মুখ বাড়ালেই এই সব পুজো। সেই অঞ্চলে সুযোগ থাকছে 'দিলখুশা কেবিন', 'রয়্যাল' বা 'সাবিরে' পেটপুজো সারার সুযোগ। আর একটু চাঁদনীর দিকে ঘেঁষে এলে তো হোটেল রেস্তোরাঁর হাট।
এবার কেন্দ্র দক্ষিণ কলকাতা। সেখানেও একটু ঐতিব্যবাহী পুজোর ঠিকানাই থাক। ধরা যাক, কেউ যদি 'সিংহী পার্ক', 'একডালিয়া'র ঠাকুর দেখতে যান তবে তিনি সাদার্ন অ্যাভিনিউতে এসে যেতে পারেন 'বিজলি গ্রিল', এই পুজো দেখে কেউ যদি বালিগঞ্জের দিকে যেতে চান তবে সেখানে তিনি পাবেন 'সিক্স বালিগঞ্জ প্লেস'।
ধরা যাক, 'বাদামতলা আষাঢ় সঙ্ঘ', 'মুদিয়ালি'র ঠাকুর দেখতে গিয়েছেন। দেখার পর রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে হাতের কাছেই 'বচ্চন ধাবা'। যেখানে খেতে দু'জনের মোটামুটি ১০০০ টাকার মতো খরচ। বাবুবাগান-যোধপুর পার্কের পুজো দেখে ঢাকুরিয়ামুখী গেলেই পড়বে 'তন্দুর পার্ক'। ১২০০ টাকার মতো দু'জনের। ঠাকুর দেখাও হল, রসনার তৃপ্তিও হল।