Varanasi: মুকুটে নতুন পালক! জেনে নিন বারাণসী কেন এত বিশিষ্ট...
বারাণসীর মুকুটে পালকের তো শেষ নেই! ভারতের অতি প্রাচীন নগর। শিবের শহর, ধর্মের শহর, বোধিসত্ত্বের শহর। ভারতের শিল্পসংগীতসংস্কৃতির অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র এই শহর। জ্ঞানচর্চার অতি বিশিষ্ট কেন্দ্র। ঋগ্বেদে কাশী নামে উল্লেখ আছে এই শহরের। পুরাণমতে, এই শহরটি পত্তন স্বয়ং শিবের হাতে। বারণসীকে অতি পবিত্র শহর হিসেবে মনে করা হয়। এ হেন বারাণসীর কপালে জুটল নতুন সম্মান। কেন জুটল? কে দিল?
উত্তর প্রদেশের বারাণসী শহরকে পর্যটন ও সাংস্কৃতিক রাজধানীর স্বীকৃতি দিয়েছে আট দেশের জোট সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)। উজবেকিস্তানের সমরখন্দে অনুষ্ঠিত এদের শীর্ষ সম্মেলনে এই স্বীকৃতি পেয়েছে বারাণসী।
দু'দিনের শীর্ষ সম্মেলন শেষে শুক্রবার এই জোটের পক্ষ থেকে একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশিত হয়। সেখানে বারাণসীকে এই স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এসসিও'র সদস্যদেশগুলি, বিশেষ করে মধ্য এশিয়ার সঙ্গে ভারতের প্রাচীন সভ্যতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কথা এই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, এসসিও এই প্রথম কোনো শহরকে পর্যটন ও সাংস্কৃতিক রাজধানীর স্বীকৃতি দিল। বারাণসীর এই মনোনয়ন অভূতপূর্ব। এই স্বীকৃতির ফলে এসসিওর সদস্যদেশগুলির মধ্যে পর্যটন, সংস্কৃতি ও আরও নানা আদান-প্রদান বৃদ্ধি পাবে। মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বাড়বে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই স্বীকৃতির ফলে, ২০২২-২৩ সালে বারাণসীতে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেই সব অনুষ্ঠানে এসসিও সদস্যদেশের অতিথিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে। এ ধরনের অনুষ্ঠানে ভারতের ইতিহাস, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্প ও ঐতিহ্য নিয়ে অধ্যয়নরতদের পাশাপাশি লেখক, গবেষক, শিল্পী, সংগীত-বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক, লেখক প্রমুখ বিভিন্ন পেশার মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
২০২১ সালে তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে অনুষ্ঠিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে ঠিক করা হয়েছিল এ বছর সদস্যদেশগুলির মধ্য থেকে কোনো একটি শহরকে সাংস্কৃতিক ও পর্যটন রাজধানীর মর্যাদা দেওয়া হবে। সেই নিরিখে বারাণসীর এই মনোনয়ন। সদস্যদেশগুলির মধ্যে পর্যটক বাড়াতে ২০২৩ সালকে 'পর্যটনবর্ষ' হিসেবে উদ্যাপন করা হবে।