শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে অতি ভয়ঙ্কর বুলবুল, শনিবার মাঝরাতেই আছড়ে পড়বে উপকূলে

Fri, 08 Nov 2019-4:06 pm,

প্রীতম দে: শক্তি বাড়িয়ে অতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। শেষ উপগ্রহ চিত্র বলছে, আগামিকাল সকালে অভিমুখ বদলাচ্ছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। শনিবার মধ্যরাতেই তা উপকূলে আছড়ে পড়বে।

সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে আছড়ে পড়বে বুলবুল। উপকূলে আছড়ে পড়ার পর বুলবুলের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। 

পূর্বাভাস বলছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে আজ বিকেল থেকেই ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করবে উপকূলের জেলাগুলিতে। শনি ও রবিবার উপকূলবর্তী এলাকায় ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হবে। অতি ভারী বৃষ্টি হবে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে।

দিঘা সহ উপকূলে আজ সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। শুরু হয়েছে বৃষ্টিও। ইতিমধ্যেই দিঘায় সমুদ্র উত্তাল হতে শুরু করেছে। নুলিয়া, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম, সিভিল ডিফেন্সের লোকজন সৈকত ও উপকূলে টহল দিতে শুরু করেছে। সমুদ্রে নামা, সৈকতে ঘোরাফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটকদের। জেলার সমস্ত ফেরি সার্ভিসের ওপর নজরদারি চলছে।

পূর্বাভাস বলছে, বুলবুলের ব্যাপক প্রভাব পড়বে সুন্দরবন এলাকায়। হলুদ সর্তকতা জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাই ফের আতঙ্কে প্রমাদ গুনতে শুরু করেছে সুন্দরবন এলাকার মানুষ। সকাল থেকে আকাশের মুখভার। উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং করে সাবধান করা হচ্ছে। ১০ বছর আগে আয়লার ভয়াল স্মৃতি যাতে আবার ফিরে না আসে, তাই বসিরহাট মহকুমার সব ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েতগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

তৈরি রাখা হচ্ছে আশ্রয় কেন্দ্রগুলিকে। বিশেষ করে হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি ও হাসনাবাদে নদী  তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের কাছাকাছি আশ্রয় কেন্দ্রগুলিতে চলে যেতে বলা হয়েছে। এলাকায় খাবার ও পানীয় জল মজুত করা শুরু হয়েছে। প্রস্তুত বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও। প্রত্যেকটি ব্লকে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের নদীতে ও সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link