Kataiya Village:করোনাস্রোতে ভেসে যাচ্ছে গ্রাম-ভারত, তারই মধ্যে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম!

Soumitra Sen Sun, 06 Jun 2021-3:22 pm,

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বন্যার মধ্যেও সারা ভারতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বেশ কয়েকটি সংক্রমণশূন্য গ্রাম। অসমের সিকদামাখা তেমনই এক গ্রাম। বিহারের সুপল জেলার (Supaul district)  কাটাইয়া গ্রামও (Kataiya village) তেমন বিশিষ্ট।  

কী ভাবে এটা সম্ভব হল? শুধুই কিছু মূলগত সাবধানতা অবলম্বন করে। সমস্ত Covid guidelines অক্ষরে-অক্ষরে মেনে চলে। গ্রাম-বিহারের এ এক অভাবনীয় সাফল্য! 

এই গ্রামের তরুণ প্রজন্মই উদ্য়োগটা নিয়েছে। তারা একটা কমিটি গঠন করেছে। এবং তার মাধ্যমে নিরন্তর কাজ করে ভাইরাসকে গ্রামের (virus-free village)কাছে ঘেঁষতে দেয়নি।

একেবারে প্রাথমিক যে কাজটা করা হয়েছিল সেটা হল ব্যারিকেড। ২৪ ঘণ্টা ৭ দিন ধরে গ্রামের পথগুলিতে ব্যারিকেড (barricaded) থাকত। খুব জরুরি প্রয়োজন না থাকলে কেউ বেরোতেন না। আর তেমন জরুরি না হলে বাইরে থেকে কাউকে গ্রামে আসতেও দেওয়া হত না। হলেও  তাঁর মুখে মাস্ক থাকা অবশ্যিক। এবং ব্যবহার করতেই হবে স্যানিটাইজার। 

শুধু তাই নয়, সব চেয়ে বড় কথা হল, করোনা টেস্ট না করিয়ে কেউ এ গ্রামে ঢুকতে পারতেন না। এ গাঁয়ের অনেকেই বাইরে কাজ করতে যেতেন। তাঁরাও যখন ফিরতেন তাঁদেরও করোনা পরীক্ষার ফলাফলে সন্তুষ্ট হয়েই তবেই গ্রামে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হত। যদি কেউ পজিটিভ থাকতেন তবে তাঁকে নির্দিষ্ট  সময় কোয়ারান্টিনে রাখা হত। 

গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগেই এই সময়-পর্বে বিয়ে-থার মতো অনুষ্ঠান বন্ধ রেখেছিলেন। বন্ধ করে দিয়েছিলেন যে কোনও রকম জমায়েতও। সবটা দেখে Supaul জেলা প্রশাসনও এই গ্রামকে করোনা-লড়াইয়ে এক দৃষ্টান্তস্থল হিসেবে ঘোষণা করেছে। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link