ভৈলিনি ও ধৌসি, দুই প্রাচীন উত্সবে মেতে উঠলেন নেপালি ছেলেমেয়েরা
অরূপ বসাক- নেপালি সম্প্রদায়ের মানুষের অন্যতম বড় ও প্রাচীন সংষ্কৃতি উৎসব ভৈলিনি ও ধৌসি। দীপাবলির দিন লক্ষ্মী পুজো হয়। সেই দিন নেপালি সম্প্রদায়ের মহিলা ও মেয়েরা তামার পাত্রে জল ভরে মা লক্ষ্মীর আরোধনা করেন। সেদিন মহিলা ও মেয়েরা রাতে আত্মীয় পরিজন ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে যান ভৈলিনি খেলতে। সাংষ্কৃতিক পোশাক পরে, গান গেয়ে তাঁরা ভৈলিনি উৎসব পালন করেন। পরের দিন ছেলেরা ধৌসি উৎসবে মেতে ওঠেন।
প্রচলিত কথা অনুযায়ী, এদিন শ্রীরামচন্দ্র ১৪ বছরের বনবাস কাটিয়ে অযোধ্যা ফিরে এসেছিলেন। আর তাঁকে ভৈলিনি ও ধৌসির মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়েছিল।
গতকাল রাতে মালবাজার মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় নেপালি সম্প্রদায়ের ছেলেরা মেতে ওঠেন ধৌসি উৎসবে। চলে নাচ, গান। পাশাপাশি এদিন নেপালি সম্প্রদায়ের ভাই টীকাও পালিত হয় বাগ্রাকোট, ওয়াসাবাড়ি, লিস রিভার-সহ বিভিন্ন এলাকায়। চলে মিষ্টিমুখের পালা।
এবছর করোনভাইরাসের আতঙ্কে ভাই ফোঁটায় ভাটা পরেছে। দুরদুরান্ত থেকে বহু ভাই বোনেরা করোনার জন্য ফোঁটা নিতে আসতে পারেননি। তবে যারা কাছে রয়েছেন তাঁরা নিয়ম মেনেই ভাই ফোঁটার আয়োজন করেছেন।
ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় এদিন বহু বাড়িতে কপালে ফোটা দিয়েছে বোনেরা। তবে সব কিছুই নিয়ম মেনেই হয়েছে। এদিন বোনদের মুখে উচ্চারিত হল, ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যম দুয়ারে পড়ল কাঁটা। এবছর সবচেয়ে বড় কাঁটা করোনাভাইরাস। এবার তাই বোনদের একটাই প্রার্থনা, দ্রুত নির্মূল হোক করোনাভাইরাস। যাতে আগামী বছর শান্তিতে ভাই ফোঁটা দেওয়া যায়!