তাড়াহুড়ো নয়, ভুল প্রতিষেধক এনে অধিক মানুষ মারতে চাই না, স্পষ্ট জানিয়ে দিল ভারত বায়োটেক
নিজস্ব প্রতিবেদন: আর মাত্র কয়েকটা দিনের পরেই ১৫ অগস্ট। হুহু করে খবর ছড়িয়েছিল ১৫ অগস্ট দেশের করোনা প্রতিষেধক "কোভ্যাকসিন" আসছে। সে জল্পনায় আগেই ইতি পড়েছে। নির্মাণকারী সংস্থা সাফ জানিয়ে দিয়েছে ১৫ অগস্টই প্রতিষেধক নিয়ে আসার শেষ দিন নয়। দেশের মানুষের স্বাস্থ্য় নিরাপত্তাই আগে।(প্রতীকী চিত্র)
সেই সুরেই ভারত বায়োটেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণ এলা জানিয়ে দিলেন, বিশ্বমারীর দরুন তড়িঘড়ি ভ্যাকসিন নিয়ে আসার চাপে পড়েছে সংস্থা। তবে গুণমান ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে এড়িয়ে যাওয়া চলবে না।(প্রতীকী চিত্র)
এলা চেন্নাই জাতীয় কেন্দ্রে শনিবার বলেছেন, "আমরা ভুল প্রতিষেধক এনে অধিক মানুষ মারতে চাই না।" সারা বিশ্বের আন্তর্জাতিক এজেন্সির নজরে রয়েছে ভারত বায়োটেক। এটা দেশের সম্মানের প্রশ্ন, তাই গবেষণায় কোনও খামতি না রেখেই ভাল গুণমানের ভ্যাকসিন নিয়ে আসার পক্ষে এলা। ইতিমধ্যেই প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হয়েছে "কোভ্য়াকসিনের।"(প্রতীকী চিত্র)
যেখানে রোটাভাইরাসের প্রথম পর্বের ট্রায়ালে সময় লেগেছিল ৬ মাস সেখানে করোনাভাইরাসের প্রথম পর্বের ট্রায়ালে সময় লেগেছে মাত্র ১ মাস। ভারতের প্রতিষেধক সংস্থাগুলি কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই। অনেকের ভারতের সংস্থা নিয়ে সংশয় ছিল যা রোটাভাইরাসের সময় ভুল প্রমাণিত হয়েছে। সারা বিশ্বের থেকে অনেক কম দামে রোটাভাইরাসের কার্যকরী প্রতিষেধক এনেছিল ভারত। এমনটাও জানিয়েছেন এলা।
এই ভাইরাস নিয়ে এত কথা হচ্ছে তার কারণ কখনই করোনায় মৃত্যু নয়। এর থেকে বেশি মৃত্যু গাড়ি দুর্ঘটনায় হয়। যেহেতু অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে তাই রাজনীতিবিদদের এতও সক্রিয় দেখাচ্ছে। এভাবেও কটাক্ষের সুরে বার্তা দিলেন দেশের অন্যতম বৃহৎ সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর। (প্রতীকী চিত্র)