Weather Update: তৈরি হচ্ছে গভীর নিম্নচাপ, ফের প্রবল বৃষ্টিতে ভিজতে চলেছে এই জেলাগুলো
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত সপ্তাহের শেষ থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত একটানা বৃষ্টি। তারপর থেকে খাপছাড়া বৃষ্টি। আকাশের মুখভার। মাঝে মধ্যেই ভিজেছে কলকাতা। জেলাতেও ছবিটা আলাদা কিছু নয়। হাওয়া অফিস বলছে এখনই মিটছে না সমস্য়া। ভোগান্তি চলবে আরও কয়েকদিন।
আগেই আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, মায়ানমার সংলগ্ন উপকূলে রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সাধারণ নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। যার প্রভাব পড়বে দক্ষিবঙ্গে।
নিম্নচাপের জেরে শহরের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। মাঝে মধ্য়ে কয়েক পশলা বৃষ্টিতে ভিজতে পারে মহানগর। তবে সেই বৃষ্টি ভারী থেকে অতিভারী হবে না। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মোটামুটি ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াল থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি কম। বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে ১৭.৩ মিলিমিটার।
আগেই হাওয়া অফিসের তরফে জানান হয়েছে যে আরও তিনটি নিম্নচাপ অপেক্ষা করছে। যার জেরে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে বৃষ্টি।
শনিবার উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর তৈরি হবে নিম্নচাপ। রবি ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। বিশেষ করে পশ্চিমের জেলাগুলোতে পড়তে চলেছে বজ্রগর্ভ মেঘের প্রভাব। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন অংশ, ঝাড়গ্রামে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে।
মৎস্যজীবীদের জন্য সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। শুক্রবার বিকেলের মধ্যে মৎস্যজীবীদের ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।