এক ঝলকে রাজ্য বাজেটে আম জনতার প্রাপ্তি
পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে নজর দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। জোর দেওয়া হল কৃষক উন্নয়নে। একইসঙ্গে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্যের পর এবার এল রূপশ্রী প্রকল্প। বাল্য বিবাহের মোকাবিলায় এই প্রকল্প আনা হয়েছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।
জিএসটি ও নোট বাতিল সত্ত্বেও রাজ্যে ৮,৯২,০০০ কর্মসংস্থান হয়েছে বলে দাবি অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের।
চা বাগানে কৃষি আয়করে ছাড় ১০০ শতাংশ ছাড়ের প্রস্তাব। আগামী অর্থবর্ষে চা বাগানের সেস মকুব। উপকৃত হবেন ২৫ লক্ষ চা শ্রমিক।
কৃষিকাজের জন্য জমি কিনলে লাগবে না মিউটেশন ফি।
কৃষকরা যাতে ফসলের ন্যায্য মূল্য পান, সে জন্য ১০০ কোটি থাকার তহবিল।
বয়স্ক কৃষকদের জন্য বার্ধক্যভাতা মাসে ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। ১ লক্ষ বয়স্ক কৃষক এই সুবিধা পাবেন।
আবাসনশিল্পে ৪০ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি টাকার সম্পত্তির উপরে ১ শতাংশ স্টাম্প ডিউটি কমানোর প্রস্তাব। শহরাঞ্চলে স্টাম্প ডিউটি ৭ শতাংশ থেকে কমে হল ৬ শতাংশ। ৬ থেকে কমে ৫ শতাংশ হল গ্রামাঞ্চলে।
রূপশ্রী প্রকল্প: বছরে দেড় লক্ষ টাকা কম আয়ের পরিবারের মেয়ের বিয়েতে সহযোগিতা করবে সরকার। ১৮ বছরের পর মেয়ের বিয়ে হলে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। উপকৃত হবে ৬ লক্ষ পরিবার। বরাদ্দ হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা।
কন্যাশ্রী প্রকল্প: বার্ষিক বৃত্তি ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করার প্রস্তাব।
মানবিক প্রকল্প: ১০০০ টাকা মাসিক ভাতা দেওয়া হবে বিশেষভাবে সক্ষমদের। উপকৃত হবেন ২ লক্ষ মানুষ। ২৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ। আগে ৪০ শতাংশ প্রতিবন্ধকতা থাকলে মিলত ৭৫০ করে মিলত। তখন পেতেন ৪৪ হাজার মানুষ। এখন ৫০ শতাংশ প্রতিবন্ধকতা থাকলে পাবেন ১০০০ টাকা।