খুব গরিব পশ্চিমবঙ্গের বিধায়করা, বলছে রিপোর্ট
দেশের দরিদ্রতম বিধায়কদের মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গের বিধায়করা। সোমবার অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের এক রির্পোর্টে জানানো হয়েছে, গড় আয়ের নিরিখে শেষের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিধায়করা।
এডিআর-এর রিপোর্টে সামনে এসেছে চমকে ওঠার মতো সব তথ্য। তাতে দেখা যাচ্ছে, দেশের স্নাতক বিধায়কদের থেকে অনেক গুণ বেশি আয় করেন অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ বিধায়করা। আয়ের দৌড়ে গোটা দেশকে পিছনে ফেলেছেন দক্ষিণের চার রাজ্যের বিধায়করা।
এডিআরএর রিপোর্ট অনুসারে দেশের মোট ৩১৪৫ জন বিধায়ক তাঁদের আয়ের হলফনামা জমা দিয়েছেন। এদের গড় আয় ২৪.৫৯ লক্ষ টাকা। যার থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিধায়করা। তাঁদের গড় আয় ৭.৮ লক্ষ টাকা। যা রাজ্যের নিরিখে শেষের দিক থেকে তৃতীয়। পশ্চিমবঙ্গের নীচে তালিকায় রয়েছে শুধু ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিসগড়।
এমনকী পূর্বের ৪ রাজ্যের গড় আয়ের থেকেও পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিধায়করা। বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গের বিধায়কদের গড় আয় যেখানে ৮.৫৩ লক্ষ টাকা সেখানে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের বিধায়কদের গড় আয় ৭.৮ লক্ষ টাকা। আয়ের নিরিখে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির গড় আয়ের থেকেও পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিধায়করা। এডিআর-এর পরিসংখ্যান বলছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির গড় আয় ৯.৩২ লক্ষ টাকা।
দক্ষিণের পাঁচ রাজ্য তামিলনাড়ু, কেরল, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার বিধায়করা আয়ের নিরিখে সব থেকে এগিয়ে। এই ৫ রাজ্যের বিধায়কদের গড় আয় ৫১.৯৯ লক্ষ টাকা। আয়ের নিরিখে সব থেকে এগিয়ে কর্ণাটকের বিধায়করা। কর্ণাটক বিধানসভার ২০৩ জন বিধায়কের গড় আয় ১.১১ কোটি টাকা। যা গোটা দেশে সব থেকে বেশি।
সব থেকে চমকে ওঠার মতো বিষয় হল শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে বিধায়কদের আয়ের কোনও সম্পর্কই নেই। দেশের যে ১০৫২ জন বিধায়ক নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত জানিয়েছেন তাঁদের গড় আয় ৩১.০৩ লক্ষ টাকা। উলটো দিকে দেশের ৬৩ শতাংশ বিধায়কের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা তার বেশি। তাঁদের গড় আয় ২০.৮৭ লক্ষ টাকা। সব থেকে বেশি আয় অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ বিধায়কদের। তাঁদের গড় আয় ৮৯.৮৮ লক্ষ টাকা।
দেশের দরিদ্রতম বিধায়কদের তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছেন এরাজ্যের বিধায়ক। হুগলির পুরশুড়ার বিধায়ক নুরুজ্জামান পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে গরিব বিধায়ক। তাঁর বাত্সরিক আয় ৩৫,০০০ টাকা বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া তাঁর নামে ২.৬৫ লক্ষ টাকা মূল্যের সম্পদ রয়েছে।