Differences Between Storms: `ডানা`-`ডানা` করে তো খুব লাফাচ্ছেন! সাইক্লোন-হারিকেন-টর্নেডো-টাইফুনের ফারাক জানেন তো?
ঘূর্ণিঝড় বা ঘূর্ণাবর্ত হল ক্রান্তীয় অঞ্চলের সমুদ্রে সৃষ্ট বৃষ্টি, বজ্র ও প্রচণ্ড ঘূর্ণি বাতাস সংবলিত একটি নিম্ন-চাপ প্রক্রিয়া। যা নিরক্ষীয় অঞ্চলে উৎপন্ন তাপকে মেরু অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত করে। এই ধরনের ঝড়ে বাতাস প্রবল বেগে ঘুরতে ঘুরতে ছুটে চলে বলে এর নামকরণ হয়েছে ঘূর্ণিঝড়। এটি এক ধরনের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় (Tropical cyclone)।
এটিও নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট এক ধরনের ঘূর্ণিঝড়। ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ-ভারতীয় আবহাওয়াবিদ হেনরি পিডিংটন তাঁর সামুদ্রিক দুর্যোগ বিষয়ক বই The Sailor's Horn-book for the Law of Storms য়ে Cyclone শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন। উল্লেখ্য বাংলায় সাইক্লোন শব্দটি গৃহীত হয়েছে ইংরেজি থেকে। এই ঝড় মূলত দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরে সৃষ্টি হয়।
টর্নেডো হল হিংস্রভাবে ঘূর্ণায়মান হাওয়ার স্তম্ভ। এটিকে প্রায়শই একটি টুইস্টার হিসেবে উল্লেখ করা হয়। খুব বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হয় না। এটি একটু লোকালাইজড।
টাইফুন হল একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় যা উত্তর গোলার্ধে ১৮০ ডিগ্রি এবং ১০০ ডিগ্রির মধ্যে তৈরি হয়ে ওঠে। কমপক্ষে ১২০ কিমি/ঘণ্টা বেগে হয়ে যায় বাতাস। উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে এই ঝড় তৈরি হয়।
উত্তর আটলান্টিক অঞ্চল বা উত্তর-পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় তার নাম হারিকেন।
কবি বলেছেন, নামে কি বা আসে যায়! কিন্তু সময়ে-সময়ে নামেই আসে যায়। ঝড়ের নামকরণের ক্ষেত্রটিও তাই। সম্পূর্ণ ভৌগোলিক কারণে এক-এক ঝড়ের এক-এক রকম নাম। না হলে তো সবই ঘূর্ণিঝড়।