`দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে চাইনি`, বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন রণধীর কাপুর
৭৪ বছরে পড়লেন রণধীর কাপুর। রাজ কাপুর পুত্রের ৭৪-এর জন্মদিনে উঠে আসতে শুরু করেছে বেশ কিছু পুরনো গল্প। যেখানে ববিতার সঙ্গে রণধীর কাপুরের সম্পর্ক, বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খোলেন কাপুর তনয়। ববিতার সঙ্গে রণধীর কাপুর কেন এক ছাদের নীচে থাকেন না, সে বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে আসে একাধিক সময়ে। এবার বিষয়টি নিয়ে রণধীর কাপুর কী বলেন দেখুন..
রণধীর কাপুর বলেন, কেন ববিতার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যাবে তাঁর? ববিতা এবং তিনি একে অপরকে ভালবেসে বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর ১৮ বছর সংসার করে অবশেষ ববিতা এবং তিনি পৃথক থাকতে শুরু করেন। ১৯৭১ সালে বিয়ের পর ১৯৮৮ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাঁর বেশ কিছু স্বভাব বা অভ্যেস ভাল লাগত না ববিতার। সেই কারণে তাঁরা পৃথক থাকার সিদ্ধান্ত নেন
ববিতা এবং তিনি দুই সন্তানের বাবা-মা। করিশ্মা, করিনাকে উপহার দিয়েছেন ববিতা। ভালবেসে বিয়ের পর এত সুন্দর সম্পর্কের পর তাঁরা কেন বিচ্ছেদের কথা ভাববেন বলে প্রশ্ন তোলেন রণধীর কাপুর। তাঁর বেশ কিছু অভ্যেস পছন্দ করতেন না ববিতা। বিশেষ করে রণধীর কাপুরের অত্যধিক মদ্যপান, দেরি করে বাড়িতে ফেরার মতো অভ্যেস অপছন্দ ছিল ববিতার। রণধীরের ওই সব অভ্যেস তাঁর ভাল লাগত না বলেই ববিতা পৃথক থাকার সিদ্ধান্ত নেন। দুজনে পৃথক থাকলেও, মেয়েদের বিষয়ে তাঁরা এক হয়ে সিদ্ধান্ত নিতেন বা এখনও নেন।
ববিতার সঙ্গে এক ছাদের নীচে না থাকলেও, দ্বিতীয়বার বিয়ে করার কোনও ইচ্ছে তাঁর ছিল না। ববিতাও আর কারও সঙ্গে সংসার শুরু করতে চাননি। ফলে তাঁরা কখনও বিচ্ছেদের কথা মনেই আনেননি বলে জানান রণধীর কাপুর
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাতকারে বাবা, মায়ের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন করিনা কাপুর। তিনি বলেন, তাঁর বাবা-মা একে অপরকে এখনও ভালবাসেন। দুজনের বেশ কিছু বিষয় একে অপরের ভাল লাগেনি। তাই তাঁরা একে অপরের কাছ থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একে অপরের কাছ থেকে দূরে থেকেও, তাঁরা সব সময় কাছাকাছি বলে জানান করিনা। শুধু প্রতিদিনের জীবনে তাঁরা একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেন না বা ঘুমোতে যান না। বাদবাকি সব কিছুতেই তাঁরা একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেন বা কোনও অনুষ্ঠান হলে সেখানে হাজির হন বলে জানান করিনা
গত ৯ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় রাজীব কাপুরের। ছোট ভাই রাজীব কাপুরের মৃত্যুর পর কার্যত ভেঙে পড়েন রণধীর কাপুর। এক বছরে কয়েক দিনের ব্যবধানে চলে যান ৩ ভাইবোন। তার আগে মৃত্যু হয় রণধীর কাপুরের মা কৃষ্ণা রাজ কাপুরের। ফলে ২ বছরের মধ্যে পরপর ৪ জন কাছের মানুষকে হারিয়ে কার্যত দিশেহারা হয়ে যান রণধীর কাপুর। কাপুর বাড়িতে তিনি একা পড়ে রয়েছেন বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায় রণধীর কাপুরকে