আদরের চিম্পুকে নিয়ে সব সময় চিন্তায় থাকতেন হৃষি কাপুর
২০২০ সালের এপ্রিল মাসে মৃত্যু হয় হৃষি কাপুরের। হৃষি কাপুরের মৃত্যুর পর এক বছর কাটতে না কাটতেই চলে গেলেন রাজীব কাপুর। রাজীব কাপুরের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বি টাউন। বলিউডের চিম্পুর মৃত্যুর পর ভাইরাল হতে শুরু করেছে হৃষি কাপুরের পুরনো একটি সাক্ষাতকার। যেখানে আদরের চিম্পুকে নিয়ে তিনি যে সব সময় চিন্তা করতেন, তা খোলসা করেন হৃষি। এমনকী কাপুর বংশে সবচেয়ে মেধাবী রাজীব কাপুর। এমনও মন্তব্য করতে শোনা যায় হৃষি কাপুরকে
নিজের বই 'খুল্লাম খুল্লা' প্রকাশের সময় রাজীব কাপুরকে নিয়ে মুখ খোলেন হৃষি। তিনি বলেন, দাদা রণধীর কাপুর তাঁর চেয়ে ৫ বছরের বড়। ফলে দাদার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক প্রায় বন্ধুর মতো। দাদার পর চিম্পু তাঁর আদরের ভাই কিন্তু বলিউডে অভিনয় থেকে পরিচালনা, কোথাওই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি রাজীব। অত্যন্ত মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও চিম্পু কেন বি টাউনে নিজের জায়গা করতে পারলেন না, তা নিয়ে চিন্তার কথা প্রকাশ করেন হৃষি কাপুর
হৃষি ওই সময় আরও জানান, চিম্পু খুব ভাল পিয়ানো বাজান। কারও কাছে প্রশিক্ষণ না নিয়েই চিম্পু কীভাবে সুরেলা ধুনে পিয়ানো বাজান, তা দেখে অবাক হয়ে যান বলেও জানান হৃষি। ফলে আদরের চিম্পুর জীবন নিয়ে হৃষি কাপুর সব সময় চিন্তা করতেন বলেও নিজের সাক্ষাতকারে জানান রাজীব কাপুরের দাদা
রাম তেরি গঙ্গা মইলি দিয়ে নিজের কেরিয়ারকে মধ্য গগণে নিয়ে গেলেও, বি টাউনে সেভাবে জায়গা করতে পারেননি রাজীব কাপুর। ফলে ১৯৯০ সালে জামিনদার মুক্তর পর পরিচালনা এবং প্রযোজনার কাজ শুরু করেন রাজীব কাপুর। সেখানেও সাফল্য ছুঁতে পারেননি রাজীব।
প্রসঙ্গত আরতী সবরওয়ালকে বিয়ে করেন রাজীব কাপুর। ২০০১ সালে আরতী সবরওয়ালের সঙ্গে বিয়ের পর তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায় ২০০৩ সালে। আরতী সবরওয়ালের সঙ্গে সংসার ভেঙে যাওয়ার পর রাজীব কাপুরকে আর নতুন করে কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে দেখা যায়নি। কেরিয়ার থেকে শুরু করে সাংসারিক জীবন, সবদিক থেকে রাজীব কাপুরকে যেন একাকীত্ব ঘিরে ধরেছিল মৃত্যুর আগে