যোধপুর জেলে ৩৪৩ নম্বর কয়েদি সলমন, হু হু কেঁদে উঠলেন বাবা সেলিম খান

Wed, 25 Mar 2020-2:20 pm,

কষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় যোধপুর জেলে বন্দি ছিলেন সলমন খান। ওই সময়ের কথা মনে করে এখনও কেঁপে ওঠেন সলমনের বাবা সেলিম খান।

একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাতকারে সেলিম খান জানান, সলমন যখন যোধপুর জেলে বন্দি ছিলেন, তখন তিনি তাঁকে দেখতে যান। তাঁকে বসিয়ে হুকুম দেওয়া হয়, ৩৪৩ নম্বর কয়েদিকে নিয়ে আসুন। যা শুনে চোখে জল ধরে রাখতে পারেননি সেলিম খান। শুদু তাই নয়, জেলের কুঠুরি থেকে বেরিয়ে সলমন যখন তাঁর সামনে এসে দাঁড়ান, তখন তিনিও যেন বাবার সামনে লজ্জায় কুকড়ে যান

সলমন যখন যোধপুরের জেলে বন্দি ছিলেন, ওই সময় তাঁরা বাড়িতে এক গ্লাস জল মুখে দিতেও কুণ্ঠা বোধ করতেন বলে জানান সেলিম খান

শুধু তাই নয়, বাড়িতে এয়ার কন্ডিশন মেশিন চালাতে গেলেও দুবার ভাবতেন। সলমন জেলের মধ্যে কেমন রয়েছেন, তা জানেন না অথচ তাঁরা কীভাবে বাড়িতে আরাম আয়াসে সময় কাটাতে পারেন, তা ভেবে সলমনের মা সালমা খান কেঁদে উঠতেন বলেও জানান সেলিম খান

এসবের সঙ্গে সেলিম খান আরও জানান, সলমন যখন জেলে ছিলেন, তখন ঘুমনোর জন্য জেলের মেঝেতে দড়ি পেতে দেওয়া হয়। জেলের কুঠুরির মধ্যে পাখাও ছিল না। ফলে ওই সময় অতি কষ্টে সলমনকে জেলের জীবন কাটাতে হয়েছে বলে জানান বলিউড অভিনেতার বাবা

এসবের পাশাপাশি সেলিম খান আরও বলেন, সলমন চাইলেই ব্যান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে অন্য কোনও বড় ফ্ল্যাট বা বাংলোয় থাকতে পারেন। কিন্তু শুধুমাত্র তাঁর জন্যই সলমন ব্যান্দ্রার অ্যাপার্টমেনেট কষ্ট করে থাকেন। ব্যান্দ্রার ওই অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে তিনি অন্য কোথাও যেতে চান না বলেই বাবা, মায়ের সঙ্গে কষ্ঠ করে হলেও ১০০০ স্কয়ার ফিটের ওই ফ্ল্যাটেই থাকেন সলমন। যার মধ্যে সলমনের জিম, পোশাকআশাক, জুতো থাকে। এমনকী, ওই অ্যাপার্টমেন্টের মধ্যে কুকুরকে নিয়েও দিব্যি কাটিয়ে দেন সলমন। এমনই জানান সেলিম খান

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link