করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কোন ধরনের মাস্ক সবচেয়ে বেশি নিরাপদ? জেনে নিন
সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে WHO-এর মহামারী বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ জানান, যে ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে সাধারণ কাপড়ের মাস্কে করোনার সংক্রমণ রোখা যাবে না। এ ক্ষেত্রে একমাত্র ত্রিস্তর বিশিষ্ট মাস্ক পরে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানো যেতে পারে।
এই মাস্ক ঠিক কী রকম উপাদানে তৈরি হবে, সে বিষয়ও স্পষ্ট করে দিয়েছে WHO। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মাস্কের একেবারে বাইরের স্তরটি পলিয়েস্টার জাতিয় জল-রোধী উপাদানে তৈরি হতে হবে। মাঝের স্তরে বুননহীন পলিপ্রোপিলিন জাতিয় উপাদান এবং একেবারে ভিতরের স্তরটি সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি হওয়া চাই।
সাধারণ মাস্ক মূলত হাঁচি-কাশির সময় নির্গত অসংখ্য ড্রপলেটকে বাতাসে মেশা থেকে রোধ করে। বিজ্ঞানসম্মত ভাবে বলতে গেলে, সাধারণ মাস্ক এক তরফা সুরক্ষা (one way protection) নিশ্চিত করে। কিন্তু ত্রিস্তর বিশিষ্ট মাস্ক বা রেসপিরেটর একাধারে যেমন হাঁচি-কাশির সময় নির্গত অসংখ্য ড্রপলেটকে আটকায়, তেমনই বাতাসে ভেসে বেড়ানো ধূলিকণা, জীবানুকেও নাকে-মুখে ঢোকা রোধ করে। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রে দুই তরফা সুরক্ষা (two way protection) মেলে।
করোনা আতঙ্কের আবহে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা N95 আসলে একটি রেসপিরেটর। এটি ৯৫ শতাংশ ধূলিকণা ও জীবানুকে নাকে-মুখে ঢোকার হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম।
N95-এর থেকে N99 বা FFP3 রেসপিরেটর প্রায় ৯৯ শতাংশ ধূলিকণা ও জীবানু রোধে সক্ষম। P-3 বা N100 রেসপিরেটর প্রায় ৯৯.৯৭ শতাংশ ধূলিকণা ও জীবানু রোধে সক্ষম।
সার্জিক্যাল মাস্ককে ঢিলেঢালা বা কম নিরাপদ বলে মনে হলেও পরীক্ষা করে জানি গিয়েছে, সাধারণ কাপড়ের মাস্ক যেখানে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ধূলিকণা ও জীবানু রোধে সক্ষম সেখানে ত্রিস্তর বিশিষ্ট সার্জিক্যাল মাস্ক প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ধূলিকণা ও জীবানু রোধ করতে পারে।