Anarul Hossain Rampurhat Arson: সামান্য রোজগেরে রাজমিস্ত্রি থেকে রামপুরহাটের `বেতাজ বাদশা`, আনারুলের উত্থানের কাহিনী চমকে দেবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: রামপুরহাট কাণ্ডে (Rampurhat Arson) ভুক্তোভোগীদের মাঝে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) ঘোষণা। এর ঠিক আড়াই ঘণ্টার মধ্য়ে তারাপীঠ থানার হাতে গ্রফতার রামপুরহাট কাণ্ডে (Rampurhat Arson) অন্যতম অভিযুক্ত আনারুল হোসেন (Anarul Hossain)। কে এই আনারুল?
রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল (TMC) সভাপতি আনারুল হোসেন (Anarul Hossain)। রাজনীতি প্রবেশে আগে সামান্য মজুরির রাজমিস্ত্রির কাজ করত সে। কোনও মতে দিন গুজরান হত।
পরে কংগ্রেসে হয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ। দীর্ঘদিন কংগ্রেস করার পর তৃণমূলে যোগ দেয় আনারুল হোসেন (Anarul Hossain)। এরপরই ব্লক সভাপতির দায়িত্ব পায় সে।
ধীরে ধীরে বীরভূমের রামপুরহাটের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠে আনারুল হোসেন (Anarul Hossain)। শোনা যায়, বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলেরও (Anubrata Mandal) আস্থাভাজন ছিল সে। তৃণমূলের জেলা কমিটিরও সদস্য। পেল্লাই বাড়ি, অর্থের সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় তার প্রভাবও বাড়তে থাকে।
রামপুরহাটে তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন, পরপর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া এবং বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনায় আনারুলের নাম উঠে আসে। মৃতদের আত্মীয়দের অভিযোগ, অগ্নিকাণ্ডের সময় বাঁচার তাদিগে ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে (Anarul Hossain) ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। এমনকী স্থানীয় থানাতেও বিষয়টি জানাননি।
বগটুই গ্রামে আক্রান্ত-ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর বগটুই গ্রামে দাঁড়িয়েই আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (CM Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "অবিলম্বে আনারুলকে (Anarul) গ্রেফতার করতে হবে। হয় আনারুল আত্মসমর্পণ করুক, কিংবা যেখান থেকে হোক ওকে গ্রেফতার করা হোক।"