সম্পর্ক থেকে বেরোলে মরে যাব, লাস্যময়ীর টান ফেরাতে না পেরেই খুন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র?
২০১১ সালের ১২ জুলাই জুনিয়র মৃধা খুনের পর কোটে গিয়েছে ৯ বছর। প্রায় ৯ বছর পর সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়র খুনে মূল অভিযুক্ত প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীকে গ্রেফতরের পর থেকেই এবার রহস্য ক্রমাগত ঘণীভূত হতে শুরু করেছে ।
মোহনবাগানের প্রাক্তন কর্তা তথা ব্যবসায়ী বলরাম চৌধুরীর প্রাক্তন পুত্রবধূ প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীকে গ্রেফতারের পর থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কে এই মডেল প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী, তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়ে যায়।
জানা যায়, জিম করতে গিয়ে ২০০৮ সালে প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীর সঙ্গে পরিচয় হয় জুনিয়র মৃধার। এরপর তাঁরা একে অপরের ফেসবুক ফ্রেন্ড হয়ে যান। ফেসবুকের মাধ্যমে সেই থেকে তাঁদের সম্পর্কের সূত্রপাত ।
বলরাম চৌধুরীর পূত্রবধূর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন, এ কথা প্রথমে জানতে পারেননি জুনিয়র মৃধা। পরে যখন বিষয়টি জানতে পারেন, তখন প্রিয়াঙ্কা ওরফে মুনের কাছ থেকে তিনি সরে আসার চেষ্টা করেন বলে জানান জুনিয়রের মা। ওই সময় জুনিয়র সম্পর্ক থেকে বেরোলে তিনি মরে যাবেন বলেও নাকি ভয় দেখাতে শুরু করেন প্রিয়াঙ্কা
জুনিয়র মৃধার মায়ের দাবি, প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীর সম্পর্কে সবকিছু জানার পর তাঁর ছেলে ওই সম্পর্কের জাল কেটে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন কিন্তু বলরাম চৌধুরীর পূত্রবধূ তাঁকে আটকে দেন। জুনিয়রকে বার বার ভয় দেখিয়ে, ব্যস্ত করে তোলেন প্রিয়াঙ্কা। এমনই দাবি করেন জুনিয়রের মা ।
এদিকে কলকাতার একটি নামী স্কুল থেকে পড়াশোনা করেন প্রিয়াঙ্কা। স্কুল জীবন থেকেই অভিনয় এবং মডেলিং শুরু করেন তিনি। প্রিয়াঙ্কার গ্রেফতারির পর স্বভাবতই চাঞ্চল্য় ছড়িয়ে পড়েছে বিবিন্ন মহলে।
এদিকে জুনিয়র যেদিন খুন হন অর্থাত ২০১১ সালের ১২ জুলাই, সেদিন টলিউডের প্রযোজক প্রতীক শর্মার সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার ২০০ বার ফোনে কথা হয়। জুনিয়রের সঙ্গেও ১৮ বার কথা হয় বলে খবর ।
জুনিয়রের মা জানান, ২০১১ সালের ১২ জুলাই তাঁর ছেলে সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ বাড়িতে ফেরেন। এরপর সরবত খেয়ে রাত ৮.১০-এ বেরিয়ে পড়েন। মুন ডেকেছে, তাঁকে যেতে হবে। মা যেন বেশি চিন্তা না করেন বলে বেরিয়ে যান জুনিয়র মৃধা।
সেই শেষ। এরপর আর ছেলের সঙ্গে কোনও কথা বা যোগাযোগ তাঁর পরিবারের হয়নি বলে দাবি জুনিয়রের মায়ের।