Vaccine নেওয়ার পরেও কেন করোনা সংক্রমণ? কী মেনে চলবেন?
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশজুড়ে টিকাকরণ অভিযানের (Vaccination) তৃতীয় পর্যায় চলছে। ১০ কোটিরও বেশি মানুষ করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন। হার্ড ইমিউনিটি গঠনে দেশের অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনতে হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদেরষ। এই অবস্থায় করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও অনেকেরই ফের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। কিন্তু কেন হচ্ছে এমনটা?
পরিসংখ্যান বলছে, লখনৌতে করোনা টিকা নেওয়ার পরেও আক্রান্ত হন প্রায় ৪০ জন চিকিৎসক। একই ঘটনা দিল্লিতে এইমস ও শ্রী গঙ্গা রাম হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গেও ঘটেছে। এদিকে উত্তরপ্রদেশের এক চিকিৎসক যিনি গত বছর করোনা আক্রান্ত হন এবছর ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নিয়েও ফের তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এক্ষেত্রে টিকাকরণ কর্মসূচি সত্ত্বেও কোভিডের বাড়বাড়ন্ত যে কার্যত রোখা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে তা বলা বাহুল্য।
চিকিৎসকদের মতে, করোনা ভ্যাকসিন হল অ্যান্টিজেন যা আমাদের দেহে ভাইরাসের আক্রমণ রুখতে অ্যান্টিবডি উৎপাদন করে। কিন্তু এই অ্যান্টিবডি (Antibody) উৎপাদন হতে বেশ সময় লাগে। সেক্ষেত্রে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে কতদিন অপেক্ষা করবেন?
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) প্রথম ডোজ নেওয়ার ৪ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। এই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আরও দুই সপ্তাহ বাদে দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। আপনি যদি কোভিশিল্ড (Covishield) ভ্যাকসিন নিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে গৃহমন্ত্রকের গাইডলাইন অনুযায়ী প্রথম ডোজের ছয় থেকে আট সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। এরপর আরও দুই সপ্তাহ বাদে আপনার দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে।
এইম্সের নয়াদিল্লির চিকিৎসক জয়স্তু সেনাপতি জানাচ্ছেন, করোনা ভ্যাকসিন নিলেও আবার করোনা হবে এই আশঙ্কা ভুল। আর এই আশঙ্কার উপর ভর তরে যদি ভ্যাকসিন না নেন তাহলে তা অনুচিত। ভ্যাকসিন নিলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায় বলে জানাচ্ছেন তিনি। কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া পর্যন্ত সময়কাল খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কোভিড বিধির যথাযথ পালন বাঞ্ছনীয়।