কেন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ফণি? কে দিয়েছে এমন ভয় ধরানো নাম?
তিতলি। নামটার মধ্যে ভয় ধরানোর মতো কিছুই নেই। বরং মিষ্টি একটা নাম। কিন্তু ফণি! সাপের ছোবল বা ফণার সঙ্গে কোথাও যেন মিল আছে। যেন মৃত্যুর হাতছানি। ভয় ধরিয়ে দেওয়ার মতো নাম।
কারা দেয় ঘূর্ণিঝড়ের এমন ভয় ধরানোর মতো নাম! ফণি নামটাই বা এল কোথা থেকে! কে দিয়েছে এমন নাম!
তথ্য ঘাঁটলে দেখা যায়, ঝড়ের নাম দেওয়ার প্রথা শুরু হয়েছিল আটলান্টিক মহাসাগরে উদ্ভুত ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে। যে সব ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৯ মাইল ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকত, সেগুলির নামকরণ করা হত। হাওয়ার গতি ৭৪ মাইল প্রতি ঘণ্টা ছাড়িয়ে গেলে সেগুলিকে সাইক্লোন, টাইফুন ও হারিকেন হিসাবে ভাগ করা হত।
এখন সাইক্লোন, টাইফুন বা হারিকেন-এর কোনও একটা হল সেই ঘূর্ণিঝড়কে নাম দেওয়া হয়। সারা বিশ্বে ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিকাল অর্গানাইজেশনের আওতায় থাকা এগারোটি সতর্কতা কেন্দ্র রয়েছে। সংস্থার আঞ্চলিক ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কমিটি ঝড়ের নাম চূড়ান্ত করে।
ফণি নামটি যেমন রেখেছে বাংলাদেশ। ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, এবং থাইল্যান্ড। এই আটটি দেশ ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে যে কোনও ঘূর্ণিঝড়ের নাম পাঠায় আঞ্চলিক কমিটির কাছে। এবারও যেমন আটটি দেশ আটটি করে মোট ৬৪টি নাম পাঠিয়েছিল। যার মধ্যে ফণি নামটি চূড়ান্ত হয়েছে।