Jean-Luc Godard: যে ছ`টি ছবির জন্য মানুষ চিরকাল গোদারকে মনে রাখবে...
১৯৬০ সালের ছবি। দেড় ঘণ্টার এ ছবিকে বলা হয়েছিল 'ফ্যাটালিস্টিক রোমান্স'। 'ব্রেথলেস' তার দর্শককে রুদ্ধশ্বাস করে দিয়েছিল। শোনা যায়, এ ছবি মুগ্ধ করেছিল সত্যজিৎকেও। প্রেমের ছবি, কিন্তু একেবারে অন্যরকম ট্রিটমেন্ট। প্রথম ছবিতেই মাত করে দিলেন গোদার। 'লা নুভেল ভাগ' তথা 'ফ্রেঞ্চ নিউ ওয়েভ'-এর দরজা যেন খুলে গেল!
'ভিভরে সা ভিয়ে' তথা 'মাই লাইফ টু লিভ' আর একটি মাইলস্টোন। গোদারের এই ছবিতে 'ট্র্যাজিক বিউটি' হিসেবে উঠে এসেছিলেন আনা কারিনা। তিনি যেন নিউ ওয়েভের 'মিউজ' হয়ে উঠলেন। অভিনয়ের একটা পরিমিতি এবং তার পাশাপাশি রহস্যময় স্বতঃস্ফূর্ততা গোদার ও আনা কারিনাকে অনন্য জুটি হিসেবে তুলে ধরল।
বলা হয়েছিল, এ ছবি অবশ্যই বুদ্ধির দীপ্তিময় উদযাপন কিন্তু তাতে মিশে আছে অনেক কিছু। ছবিটি আসলে যেন একটা ব্যাটলগ্রাউন্ড। যেখানে রয়েছে প্রেম, ঘৃণা, লড়াই, হিংসা, মৃত্যু; আর তাতে মিশে আছে অমিত আবেগ। এ ছবি ফরাসী ছবিতে, বিশ্বসিনেমাতেও একটা কাল্ট।
এ ছবি যেন অনেকটা 'পিয়েরো লে ফাউ'-এরই অনুবর্তী, সিক্যুয়েলধর্মী। কিন্তু না, সম্পূর্ণত তা বলা যায় না। কেননা, 'ফার্স্ট নেম: কারমেন' ছবিতে আগের ছবির মতো কোনও বিষাদাচ্ছন্ন রোমান্টিকতা নেই। এখানে লাভ স্টোরি শুরুর আগেই শেষ হয়ে যায়!
১ ঘণ্টা ৯ মিনিটের ছবি 'গুডবাই টু ল্যাঙ্গোয়েজ'। ২০১৪ সালের ছবি। বৃদ্ধ গোদারের হাতে যেন ফুল ফুটল। ছবিনির্মাণকে আবার যেন নতুন করে সংজ্ঞায়িত করলেন তিনি। কালো অন্ধকার থিয়েটারের স্বল্পপরিসরে কী ম্যাজিক যে ঘটতে পারে, এ ছবি না দেখলে তা যেন সম্পূর্ণ উপলব্ধি করা যায় না।
এবং আর একটি মুক্তো। 'দ্য ইমেজ বুক'। এটিও শেষবেলার গোদারের বিচ্ছুরণ। ২০১৮ সালের ছবি। সময় এতে আরও কম-- ৮৫ মিনিট। এ ছবিতে তিনি আবার প্রমাণ করলেন, তাঁর দেশের সিনেমাশিল্প যে-উচ্চতাতেই উঠে যাক, সেই বিপুল নির্মাণের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ আজও তিনি। কিছু পরস্পরবিচ্ছিন্ন দৃশ্য ও শব্দকে এক আলংকারিক ছন্দে গ্রথিত করে যেন নির্মাণ করেছিলেন এই ছবি।