এই কারণেই সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল বিরোধীরা, জেনে নিন ভিতরের তথ্য

Fri, 24 Aug 2018-10:36 pm,

বিরোধীরা অভিযোগের স্বপক্ষে নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ দিতে না পারায় আর্জি খারিজ। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আইনজ্ঞরা বলছেন সংবিধান, কেন্দ্র-রাজ্যের আইনের কথা মাথায় রেখেও রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে-পরে শীর্ষ আদালতে চলে দীর্ঘ শুনানি। সব পক্ষই তাদের যুক্তি পেশ করে।বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার আসনগুলিতে নতুন করে ভোট নিতে হবে। বিরোধীদের এই দাবি খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত। কারণ কী, লিখিত রায়েই তা স্পষ্ট। 

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, বিরোধীদের অভিযোগের স্বপক্ষে নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ আদালত পায়নি। 

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী আসনগুলির ক্ষেত্রে আদালতের কাছে ঠিক কী চাইছেন, তা স্পষ্ট করেননি বিরোধীরা। সুপ্রিম কোর্ট মনে করছে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী প্রার্থীদের বক্তব্য না শুনেই নতুন করে ভোটগ্রহণের নির্দেশ দিলে তাঁদের প্রতি অবিচার করা হবে।

২০ হাজার আসনে নতুন করে ভোটের নির্দেশ দিলে সবক্ষেত্রেই হিংসা-ভীতি প্রদর্শনের কারণে বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি কিনা তা প্রমাণ হওয়ার আগেই আগাম বিচার করা হয়ে যাবে।  

আইনজ্ঞরা মনে করছেন এছাড়াও চূড়ান্ত রায় দিতে গিয়ে সংবিধান নির্দিষ্ট পথই অনুসরণ করেছে শীর্ষ আদালত।  

সংবিধান বলছে, ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে আদালতের হস্তক্ষেপের কোনও সংস্থান আর নেই।২৪৩ (০) ধারায় বলা আছে, পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়া একবার শুরু হয়ে গেলে দেশের কোনও আদালতে সেই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা যাবে না।

নির্বাচন শেষ হলে, রাজ্যের আইন অনুযায়ী ইলেকশন পিটিশন দাখিল করা যাবে। অভিযোগ থাকলে বিরোধীদের ইলেকশন পিটিশন দাখিলেরই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত নির্বাচন আইনের ৭৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী ভোট নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে, ফল প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া যায়।

গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির ভোটে অভিযোগ থাকলে স্থানীয় দেওয়ানি আদালতে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করা যেতে পারে। 

জেলা পরিষদে নির্বাচনের ক্ষেত্রে অভিযোগ থাকলে জেলা আদালতে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করা যায়। যে কোনও বৈধ ভোটারই আদালতে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করতে পারেন।

 

রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন আইনে ইলেকশন পিটিশনে নিম্ন আদালতের রায়ই চূড়ান্ত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা যায় না।  

১৯৭৫-এ ইলেকশন পিটিশনেই রায়বরেলি লোকসভা কেন্দ্রে ইন্দিরা গান্ধীর জয় অবৈধ বলে রায় দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বাংলার বিরোধীরা অবশ্য এতটা আশা দেখেন নি।

 

সিপিএমের মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট, ই-মনোনয়ন বৈধ বলে নির্দেশ দেয়। তা খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।  

রাজ্য পঞ্চায়েত আইনের ৪৬ নম্বর ধারায় বলা আছে প্রার্থী বা তাঁর প্রস্তাবককে সশরীরে পঞ্চায়েত রিটার্নিং অফিসারের সামনে হাজির হতে হবে। 

নিজে সই করে মনোনয়ন দাখিল করতে হবে, অন্যথায় তা অবৈধ বলে গণ্য করা হবে।

এই আইনকে মান্যতা দিয়েই ই-মনোনয়নের নির্দেশ খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

১৯৫১ সালে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনেও যে ই-মনোনয়নের সংস্থান নেই তা মনে করিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link