Wimbledon: ঘাসের কোর্টের রানিরা, সৌন্দর্য, শক্তি আর বুদ্ধির মিশেল
নিজস্ব প্রতিবেদন- তিনি টেনিস রানি। মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা। গোটা পৃথিবীর টেনিস প্রেমীদের কাছে আজও তিনি এক বিস্ময়। তাঁর সংগ্রহে ৯টি উইম্বলডন খেতাব, ৩টি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেতাব। এক নম্বর স্থান ধরে রেখেছিলেন ৩৩২ সপ্তাহ। পরে স্টেফি গ্রাফ তাঁর এই রেকর্ড ভাঙেন। নাভ্রাতিলোভার অ্যাটাকিং সার্ভ আর ভলি ছিল সবথেকে বেশি আকর্ষণীয়।
জার্মান টেনিস তারকা স্টেফি গ্রাফ টেনিস দুনিয়ায় পা রাখলেন আর 'ভিনি ভিডি ভিসি' হল। তিনি এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। জোরালো সার্ভিস, পাওয়ারফুল ফোর-হ্যান্ড ছিল তাঁর শক্তি। ৩৭৭ সপ্তাহ, অর্থাৎ প্রায় ৭ বছর ধরে রেখেছিলেন টেনিসের ১ নম্বর আসন। সংগ্রহে ৭ টি উইম্বলডন খেতাব, ৪ টি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেতাব। ঘআসের কোর্টের রানি হলেও ৬টি ফ্রেঞ্চ ওপেন খেতাবও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
১৯৯২ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত স্টেফি রেসিং ড্রাইভার সাইকেল বার্টেলসের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। ১৯৯৯য়ের ফ্রেঞ্চ ওপেনের পর তিনি আন্দ্রে আগাসির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হন। আগাসিকে বিয়ে করেন ২০০১ সালে।
যুগোস্লাভ-মার্কিন টেনিস তারকা মনিকা সেলেসের প্রতিভা নিয়ে সমালোচকরা বলেন, তিনি পৃথিবীর অন্যতম সেরা প্রতিভা। ১৯৯১ ও ২০০১য়ে জেতেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। ১৯৯৯য়ে জেতেন উইম্বলডন। তাঁর ঝুলিতে ৯টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম রয়েছে। মনে রাখতে হবে তাঁর কেরিয়ারে ছেদও এসেছিল।
বাঁ হাতি মনিকা সেলেস ১৯৯৩ সালে এক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এক স্টেফি গ্রাফের অন্ধ ভক্ত কোর্টে তাঁর দিকে ছুরি ছুড়ে দেন। মেরুদণ্ডের পাশ ঘঁষে সেই ছুরি গিয়ে বেঁধে। এই ঘটনা তাঁকে বেশ কিছুদিন টেনিস কোর্ট থেকে দূরে সরিয়ে রাখে।
সুইস টেনিস খেলোয়াড় মার্টিনা হিঙ্গিস উইম্বলডন জেতেন ১৯৯৭ সালে। অস্ট্রেলিসান ওপেন জেতেন ১৯৯৯, ১৯৯৮, ১৯৯৯য়ে। মার্টিনা হিঙ্গিস সম্পর্কে রজার ফেডেরার একবার বলেছিলেন, 'মার্টিনা তাঁর টেনিস দর্শনটাই বদলে দিয়েছেন'। দুজনে ২০০১ সালের হপম্যান কাপ জেতেন মিক্সড ডাবলসে।
রাশিয়ান টেনিস তারকা মারিয়া শারাপোভা ২০০৪ সালে উইম্বলডন সিঙ্গলস খেতাব জেতেন সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে। ম্যাচের ফলাফল ছিল ৬-১, ৬-৪। অপর ঘাসের কোর্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতেন ২০০৮ সালে।
মার্কিন টেনিস সুপারস্টার সেরেনা উইলিয়ামসের ঘাসের কোর্টে সাফল্য নজর কাড়ার মতই। উইম্বলডন জিতেছেন বার। ২০০২, ২০০৩, ২০০৯, ২০১০, ২০১২, ২০১৫ এং ২০১৬ সালে। উইম্বলডন ডাবলসেও খেতাব জিতেছেন ৬বার। বোন ভেনাস উইলিয়ামসকে সঙ্গে নিয়েই বেশিরভাগ খেতাব।
বেলারুশের টেনিস খেলোয়াড় ভিক্টোরিয়া অ্যাজারেঙ্কা ২০১১-১২য় উইম্বলডনের সেমি ফাইনালে পৌঁছোন। ২০১৮য় মিক্সড ডাবলসে ফাইনালে ওঠেন। ঘাসের কোর্টে খেলা অলিম্পিকে দুটি পদক আছে তাঁর ঝুলিতে।
ভিক্টোরিয়া অ্যাজারেঙ্কা সেই টেনিস খেলোয়াড়, যিনি প্রথম পুরুষ ও মহিলাদের টেনিসে অসাম্য নিয়ে জোরদার মুখ খোলেন। পরবর্তীতে যা অন্যান্য খেলায় পুরুষ-নারী অসাম্য নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলার ভয় দূর করে।