শুরু হয়েছে ব্যারাজের ক্ষতিগ্রস্ত লকগেট সারাইয়ের কাজ, টানা চারদিন জল নেই দুর্গাপুরে
মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে শুরু হয়েছে দুর্গাপুর ব্যারাজের ক্ষতিগ্রস্ত লকগেট সারাইয়ের কাজ। লকগেটের সামনে যে জমা জল আছে সেই জলকে পাম্প দিয়ে বের করা হচ্ছে। সেচ দফতরের আশা কাজ সম্পূর্ণ করা যাবে বুধবার রাতের মধ্যেই। বৃহস্পতিবার থেকেই এলাকার মানুষ পানীয় জল পাবেন বলে আশা করছেন তাঁরা। সারাইয়ের কাজ শুরু হওয়ার পর রাত বারোটা থেকে সকাল ৫ টা পর্যন্ত ব্রিজের উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল।
দুর্গাপুরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি আবাসনগুলোতে জল সরবারহ প্রায় বন্ধ। শুধু মাত্র সরকারি আবাসন নয় দুর্গাপুরে বিভিন্ন এলাকাতেই শুরু হয়েছে জল সঙ্কট। যেখানে জল পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই লম্বা লাইন। রাতে মেরামতি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, জল লিক করতে থাকায় দুর্গপুর ব্যারাজের ভেঙে যাওয়া লকগেট সারাইয়ের কাজ শুরু করতেই পারল না সেচ দফতর। মঙ্গলবার বিকেল দিকে বালির বস্তা দিয়ে ঘিরে জল আটকানো সম্ভব হলেও, রাতে ফের জল ঢুকতে থাকে।
জেল ছেঁচে বার করে দিতে সেচ দফতর দুটি পাম্প বসায় কিন্তু দুটি পাম্পের একটি পাম্প কাজ না করায় এখনও জল বের করা সম্ভব হয়নি। এর আগে সেচ দফতর থেকে বলা হয়েছিল বুধবার রাতের মধ্যেই মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
দুর্গাপুর ব্যারেজে লকগেট বিপর্যয়ের জের। মেজিয়া তাপ বিদ্যুত্ কেন্দ্রে সঙ্কট আরও গভীর হচ্ছে। সোমবার ও মঙ্গলবার দুটি ইউনিটের উত্পাদন ছিল বন্ধ। আপাতত পাঁচটি ইউনিট সচল। উত্পাদনে ঘাটতি এক হাজার মেগাওয়াট।
পরিস্থিতি সামাল দিতে জলের খরচে নিয়ন্ত্রণ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় জল না এলে আরও কয়েকটি ইউনিট বন্ধ রাখা হতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।