World Elephant Day: বাসস্থানের সঙ্কটে পড়ে ভারতীয় হস্তীকুল এখন দিশেহারা
স্বয়ং ভগবান বুদ্ধ ধর্মোপদেশ দেওয়ার সময়ে হাতির দৃষ্টান্ত টেনে এনেছিলেন। বলেছিলেন, হাতি যেভাবে নিজেকে ধুলোময়লা থেকে টেনে তোলে তেমন তোমরাও সমস্ত মালিন্য থেকে নিজেদের টেনে তোলো।
কিন্তু এহেন প্রাণীটির অবস্থা বিশ্ব জুড়ে খুব আশাপ্রদ নয়। বিশেষ করে ভারতে তার অবস্থা বেশ সঙ্গিন।
এ দেশে হাতির বাসস্থান ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। উপযুক্ত পরিমাণ খাদ্যও নেই। নিরাপত্তা তো নেইই। বাসস্থানের চরম সঙ্কটে পড়া ভারতীয় হস্তীকুল এখন গোটা ১৫ রাজ্যের বিচ্ছিন্ন অরণ্যভূমিতে কোনও ক্রমে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গিয়েছে। জনবসতি ও কৃষিজমির সম্প্রসারণ, শিল্পায়ন, রেললাইন তৈরির মতো 'উন্নয়নে'র কোপে পড়ে নষ্ট হচ্ছে বা কমে আসছে হাতির এলাকা। বিঘ্নিত হচ্ছে হাতি চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ পথ অর্থাৎ করিডর।
বাস্তুচ্যুত হাতির দল খাবারের সন্ধানে হানা দিচ্ছে লোকালয়ে। বাড়ছে হাতি-মানুষ সঙ্ঘাত। প্রাণহানি ঘটছে দু’তরফেই।
অথচ প্রাণীদের মধ্যে অপূর্ব সুন্দর এই হাতি। অপূর্ব কান, দীর্ঘ উজ্জ্বল দাঁত, বিপুল শুঁড়, স্তম্ভাকার পা ইত্যাদি মিলিয়ে শারীরিক ভাবেই হাতি দারুণ আকর্ষণীয় এক প্রাণী। প্রাচীন ভারতে হাতির বিশেষ গুরুত্ব ছিল।
হাতি নিয়ে এই সাতকাহন, কারণ, আজ, ১২ অগস্ট বিশ্ব হস্তীদিবস (World Elephant Day)।
এ বছর বিশ্ব হস্তীদিবসের মূল ভাবনা বা 'থিম' ঘোষিত হয়নি। তবে গত বছরের এ দিনটির থিম ছিল-- Haathi Hamara Saathi।
বিশ্ব-পরিবেশ নিয়ে, বন্যপ্রাণ নিয়ে মানুষকে আরও সংগঠিত ভাবে, আরও উদ্ভাবনী শক্তির সঙ্গে পরিকল্পনা করতে হবে। না হলে হাতির মতো বন্যপ্রাণ ধীরে ধীরে নষ্ট হবে।