World Senior Citizen`s Day: এই প্রবীণেরা তরুণ প্রজন্মের থেকে বরাবর লক্ষ যোজন এগিয়ে...
৮৮ বছরের অমর্ত্য সেন। অর্থনীতিবিদ, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ। বহির্ভারতে ভারতের অন্যতম প্রতিনিধিস্থানীয় মুখ। ওয়েলফেয়ার ইকনমিক্স এবং সামাজিক স্বক্ষমতার উপর কাজ করে বিখ্যাত। নোবেলজয়ী এই বিরল প্রতিভার মানুষটি বয়সকে হারিয়ে এখনও নানা সারস্বত চর্চায় সমৃদ্ধ করছেন মানবজাতিকে। প্রতীচী ট্রাস্ট গড়ে তিনি নানা বিষয়ে সমাজকল্যাণমূলক কাজও করছেন।
৮৪ বছরের রতন টাটা। টাটা গ্রুপের সর্বময় কর্তা, টাটার মুখ তিনিই। নিজের সংস্থাকে সব সময় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আদর্শে নিবেদিত। একটা দার্শনিকতা নিয়ে ব্যবসার কর্মে নিয়োজিত। সব সময়েই আউট অফ দ্য বক্স ভেবেছেন। ভারতে ব্যবসায় সাফল্যের অন্যতম উদাহরণস্থল তিনি।
৬৬ বছরের অমিতাভ ঘোষ হয়তো এখনও ঠিক হাউসহোল্ড নেম নন। কেননা, এখনও অমিতাভ বললে বাঙালি অমিতাভ বচ্চনের কথাই প্রথম মনে করে। এই অমিতাভ কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাঙালির অন্যতম সফল মুখ। ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, পরিবেশ-চিন্তক। ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়াকে কেন্দ্র করে রচিত তাঁর কাহিনিগুলিতে ঔপনিবেশিকতা ঘুরে ফিরে আসে । জ্ঞানপীঠ পেয়েছেন। ইংরেজি ভাষায় সাহিত্যকর্ম করা বাঙালি তথা ভারতীয় লেখকদের মধ্যে অতি উচ্চে তাঁর স্থান।
৮৮ বছরের আশা আক্ষরিক অর্থেই এক হাউসহোল্ড নেম। তাঁর বিখ্যাত দিদিকে যথোচিত সম্মান দিয়েও বলা চলে আশা ভোঁসলে হিন্দি গানে এক অতুলনীয় নাম। এই সেদিন পর্যন্ত তিনি কাজ করেছেন। ভার্সেটালিটির দিক থেকে খুব কম সংখ্যক শিল্পীই তাঁর পাশে বসার যোগ্য।
৭৩ বছরের সুনীল গাওস্কর। ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি। সারা পৃথিবীকে দেখিয়েছিলেন টেস্টে ১০ হাজার রানও করা যায়। তিনিই ভারতের প্রথম লিটল মাস্টার। টেস্টে পৃথিবীর অন্যতম সেরা ওপেনার। একজন অসাধারণ কমেন্টেটর। ক্ষুরধার ক্রিকেটবুদ্ধি ও বিশ্লেষণীশক্তি। আজও নানা ভাবে সমৃদ্ধ করে চলেছেন ভারতীয় ক্রিকেটকে।
৬৭-র মেধা পাটেকর। সমাজকর্মী। মানবাধিকার রক্ষাকর্মী। সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট। নর্মদা ভ্যালি ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টে তাঁর আন্দোলন বিখ্যাত হয়ে আছে। 'রাইটস টু লাইফ অ্যান্ড লাইভলিহুড' হল তাঁর উদ্দিষ্ট।