World`s Beautiful Cops: `ভয়ংকর সুন্দর`! বিশ্বের `সেরা রূপমতী` পুলিস এঁরাই...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কে সুন্দর, কে সুন্দর নয় তার কি নির্দিষ্ট কোনও মাপকাঠি আছে? এই জেট যুগে সৌন্দর্যের সংজ্ঞার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু, তা বলে দৃষ্টি নান্দনিকতার বিষয়টাও পুরোপুরি ফেলে দেওয়া যায় না। তাই স্বভাবগত ভাবেই মানুষ চোখের আরামে বিশ্বাসী! এবার একদম উল্টো একটা বিষয়ে আসা যাক। পুলিস! বললেই মাথায় আসে ভীষণ রাগী, কোমরে বন্দুক অথবা হাতে লাঠি ধরে থাকা হাট্টা-গাট্টা চেহারার কিছু মানুষ। কিন্তু আপনি যদি হঠাৎই একজন মডেলকে পুলিসের ইউনিফর্ম পরে পেট্রলিং করতে দেখেন, তা হলে কি যেচে ধরা দেবেন? কারণ, বেশ কিছু পুলিসকে দেখে আদতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকম মন্তব্যের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। আপনারাও সেই আইনক্ষকদের দেখে বিচার করুন, কিছু টাকা ফাইনের বিনিময় যেচেই কোনও ছোটখাটো আইন ভাঙবেন কি না!
কলোম্বিয়ার মেডেলিনের বাসিন্দা ডায়ানাকে দেখলে আপনার বিউটি উইথ ব্রেইন, এই উক্তিটির কথা মনে পড়বে। যে কারণে সোশ্যাল মিডায়ায় তাঁর বিশাল ‘ক্রেজ’। তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে ফলোয়ার সংখ্য়া প্রায় ৪ লাখ। অন্যদিকে তাঁকে পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর মহিলা পুলিস খেতাবও দেওয়া হয়েছে। তবে, ডায়ানা এত কিছুর মধ্যেও তাঁর জীবনের লক্ষ্য থেকে ছিটকে যাননি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁকে যদি এই জীবনে নতুন করে কোনও পেশা বেছে নেওয়ার সুযোগও দেওয়া হয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তিনি বার বার পুলিসই হতে চাইবেন।
কিছু কিছু পুলিস আবার সাশার মতোও হন। জামাইকার বাসিন্দা সাশা হেনরি একাধারে পুলিস অফিসার, অন্যদিকে মিস জামাইকা ২০১৭-এর অন্যতম তাবড় প্রতিযোগী।
এই মহিলা পুলিসকে রাস্তায় যাঁরা যাঁরা দেখেছেন, তাঁদের বেশিরভাগই সেই সময় কোনও ছোটখাটো আইন না ভাঙার জন্য খুবই আফসোস করেছেন। হ্যালে ড্রু নামক পুলিস অফিসারটি টেক্সাস শেরিফ ডিপার্টমেন্টে কর্মরত।
সামান্থা প্রথমে তাঁর যাত্রা পুলিস হিসাবে শুরু করলেও, পরবর্তীকালে মডেলিং জগতে পা রাখেন। তারপর তাঁকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। পুলিস থেকে মডেল হওয়ার পিছনে একটা ছোট্ট গল্পও আছে। ২০১৩ সালে সামান্থার এক বন্ধু তাঁকে একটি ফ্যাশন শো-তে নিমন্ত্রণ করেন। ব্যস! তারপরই তিনি সুইম স্যুট ও অন্তর্বাসের মডেল হিসাবে মডেলিং জগতে পদার্পণ করেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই প্রাক্তন পুলিস অফিসারের অনুগামীদের একটা লম্বা লাইন আছে। ২০১৮ সালেই তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে ফলোয়ার সংখ্যা ছিল ৩ লাখ!
আমেরিকার এই পুলিসকে দেখলে আপনি ভাবতে বাধ্য় হবেন, কীকরে সেই অঞ্চলের মানুষ একবারও ইচ্ছে করে আইন না ভেঙে থাকতে পারেন! স্থানীয়রা তাঁর কাজ ও রূপের সংমিশ্রণে তাঁকে ‘রণক্ষেত্রের বার্বি’ খেতাব দিয়েছেন। তা হলে, ভাবুন তো! যে পুলিসকে দেখলে দোষ না করেই সাধারণ মানুষ ঢোক গেলে, সেই পুলিসের জন্যই তারা যেচেই আইন ভাঙতে চাইছেন!