এ যেন এক টুকরো ভারত! কোটি মানুষে সমাগম কুম্ভমেলায়
অমৃত কুম্ভে খিচুরি যোগ। স্থানীয় ভাষায় খিচড়ি। মকর সংক্রান্তির শাহী স্নানের পর লাখো লাখো পুণ্যার্থী চাল দান করেন। সঙ্গে ডাল, সবজিও।
এই খিচড়ি দান পেতে গোটা দেশ থেকে ভিক্ষুক, সাধু সন্নাস্যীরা জড়ো হন কুম্ভে।
বিশ্বের অন্যতম বড় পুণ্যার্থী সমাগম। মকর সংক্রান্তিতে কোটি কোটি পুণ্যার্থীর সঙ্গে হাজির লাখো ভিক্ষুক, সাধু-সন্ন্যাসী।
শাহী স্নানের পর দান। তবে সেই দানে অর্থ নেই। সার দিয়ে বসেন দানের প্রত্যাশীরা। স্নান সেরে চাল দিচ্ছেন ভক্তরা। সঙ্গে ডাল, সবজি।
মোক্ষ লাভের এই রীতিতে ছেদ নেই এতটুকু। বিরামহীন দান ও দান গ্রহণের এই অদ্ভূত রূপ কুম্ভের প্রাঙ্গনে যেন অমৃত স্বাদ।
নির্মোহ সমাগমে অকৃত্রিম পরিতৃপ্তি। প্রয়াগ প্রাঙ্গনে খিচুড়ি দান আসলে দান নয়, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির ডুয়েল...
একটুকরো ভারতই যেন উঠে এল কুম্ভে। মানবতীর্থের মহামিলন, প্রয়াগে নানা রঙের কোলাজ। রঙিন সাধু থেকে ভিন দেশি ভারতপ্রেমী। অমৃত কুম্ভের স্বাদ চেখে দেখলেন জি চব্বিশ ঘণ্টার প্রতিনিধি।
এই সুরের কোনও সীমানা নেই। নেই কোনও গণ্ডিও। কোটি কোটি মানুষ একত্রিত, সমবেত। মানবতার জয়গান কুম্ভ ছাড়া আর কোথাও কী মিলবে? এই টানেই সদূর ইজরাইল থেকে ছুটে এসেছেন ওঁরা।
চোখের সামনে মানব বিশ্ব। মুগ্ধতা ও কৌতুহলে কথা হারিয়ে ফেলছেন ভিনদেশী অতিথিরা। নিরাপত্তা নিশ্চিদ্র। এ যেন আধুনিক ভারতের সনাতনী চিত্রনাট্য। পুণ্যলাভের এই আকাঙ্খাই কুম্ভকে বারবার তুলে ধরেছে এক সীমাহীন ঐতিহ্যে, এক সীমাহীন আনুগত্যে..