দুঃস্থ বাচ্চাদের খিদে মেটাতেন! গ্র্যান্ডপা কিচেন-এর সেই `দাদু` আর নেই
কেয়ারিং অ্যান্ড শেয়ারিং। এটাই ছিল তাঁর জীবনে এগিয়ে চলার মূলমন্ত্র। আর এই মন্ত্রের উপর বিশ্বাস রেখেই তিনি দুঃস্থ বাচ্চাদের মুখে তুলে দিতেন খাবার। একসঙ্গে প্রায় ১০০ বাচ্চাকে খাওয়াতেন নারায়ণ রেড্ডি। ৭৩ বছরের এই বৃদ্ধকে লোকে চিনতেন গ্র্যান্ডপা কিচেন-এর দাদাজি নামে।
২০১৭ সালের ২৬ আগস্ট তিনি একটি ইউ টিউব চ্যানেল শুরু করেন। বেশিরভাগ সময়ই খেত বা নদীর ধারে তাঁকে খাবার বানাতে দেখা যেত। কখনও বাচ্চাদের জন্য ম্যাগি বানাতেন। কখনও মটন বিরিয়ানি বা চিকেন অথবা পিত্জা। নারায়ণ রেড্ডি অন্তত ১০০ বাচ্চার জন্য খাবার বানাতেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, অন্তত ১০০ বাচ্চার খিদে মেটানো উচিত। তার কমে নয়।
দীর্ঘদিন ধরেই রোগে ভুগছিলেন নারায়ণ রেড্ডি। ৭৩ বছরে জীবনাবসান হল তাঁর। ইউ টিউবে তাঁর বেশিরভাগ ভিডিয়ো ১২-১৫ মিনিটের হত। গ্র্যান্ডপা কিচেন চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার এখন প্রায় ৬১ লাখ।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে খাবার বানানোর পন্থা বলতেন তিনি। বানানো খাবার তিনি বিলিয়ে দিতেন দুঃস্থ ও অনাথ ছেলেমেয়েদের মধ্যে। ইউ টিউব থেকে যা উপার্জন করতেন সেই টাকারও কিছুটা বাচ্চাদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন নারায়ণ রেড্ডি।
মটন বিরিয়ানি থেকে চিকেনের বিভিন্ন আইটেম। এমনকী চকোলেট কেক কীভাবে সহজে তৈরি করা যায় সেটাও দেখিয়েছেন নারায়ণ রেড্ডি। আর সেইসব খাবার অবলীলায় অনাথ শিশুদের মধ্যে বিলিয়ে মানবতার বার্তা দিয়েছেন বারবার। এমন মানুষের চলে যাওয়াটা যে মন খারাপ করে দেওয়া একটা খবর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।