দিল্লি থেকে সোজা ঘাটাল, মন্দিরে বিয়ের পর স্ত্রীর অধিকার আদায়ে ১৩ ঘণ্টা ধরনা যুবতীর!
চম্পক দত্ত: শ্বশুরবাড়ির সামনে টানা ১৩ ঘণ্টা ধরনার পর পুনরায় বিয়ের পিঁড়িতে চারহাত এক হল মোনালিসা-বিবেকের। অভিযোগ, বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও স্ত্রীকে পাত্তা দিচ্ছিলেন না স্বামী। স্ত্রীকে ছেড়ে নিজের বাড়িতে চলে এসেছিলেন স্বামী। তাই দিল্লি থেকে সোজা ঘাটালের কুঠিঘাটে এসে মঙ্গলবার সকাল থেকে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসেন যুবতী।
ঘাটালের কুঠিঘাটের বাসিন্দা বিবেক ভুঁইয়ার সঙ্গে ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে আলাপ হয় দিল্লিতে কর্মরতা উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরের তরুণী মোনালিসা জয়ধরের। রেজিস্ট্রির আবেদন করেন দুজনে। যদিও তারপর আর রেজিস্ট্রি করা হয়নি। ঘাটালের মন্দিরে বিয়ে করে মোনালিসা-বিবেক।
মোনালিসা দিল্লিতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত থাকায় সেখানে বিবেকের নিত্য যাতাযাত ছিল। কিন্তু মোনালিসার অভিযোগ, হঠাৎ করেই বিবেক এই সম্পর্ক অস্বীকার করতে শুরু করেন। পাশাপাশি তাঁকেও আর পাত্তা দিচ্ছিলেন না। এরপরই মোনালিসা দিল্লি থেকে কুঠিঘাটে এসে স্বামী বিবেক ভূঁইয়ার বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন।
এদিকে ধরনায় বসার খবর জানাজানি হতেই বিবেকের পরিবার বেপাত্তা হয়ে যায়। খবর যায় পুলিস প্রশাসনের কাছে। বিবাহিত জীবনের যাবতীয় ছবি সহ প্রমাণ নিয়ে ধরনায় বসেছিলেন মোনালিসা। অনেক রাতে ঘাটাল থানার ওসি সহ পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। আসে বিবেকের পরিবারও। বিপাকে পড়ে তাঁরাও বাড়ির বৌকে বাড়িতে মেনে নেন।
কিন্তু গ্রামবাসীদের অনড় দাবির সামনে ফের চারহাত এক হয় মোনালিসা-বিবেকের। গ্রামের কালীমন্দিরেই বসে বিয়ের আসর। গ্রামবাসীদের সামনে মালাবদল করে সিঁদুরদানের মধ্যে দিয়ে বিয়ে সম্পন্ন হয় বিবেক- মোনালিসার। টানা ১৩ ঘণ্টা ধরনার পর শেষমেশ জয়ের হাসি মোনালিসার মুখেও।