বিস্ফোরক যুবরাজ সিং! কীভাবে তাঁকে অবসরের জন্য বাধ্য করা হয়েছিল জানালেন
অবসর নেওয়ার পর এতটা বিস্ফোরক তিনি এর আগে হননি। এর আগে কখনও নিজের অবসর ও কেরিয়ার নিয়ে এতটা খোলামেলা কথাও বলেননি। যুবরাজ সিং হয়তো আর নিজেকে আটকে রাখতে পারলেন না। তাঁর অবসর নিয়ে অনেক প্রশ্নই উঠেছিল। জবাব দিয়ে গেলেন যুবি।
২০১১ বিশ্বকাপের প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট তিনি। ছয় ছক্কার মালিক। কিন্তু ২০১৭ সালে ইয়ে ইয়ো টেস্ট পাশ করার পরও তাঁকে দলে নেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকতে থাকতে কার্যত বীতশ্রদ্ধ হয়ে ২০১৯ সালের ১০ জুন অবসর ঘোষণা করে দেন যুবরাজ।
২০১৭ সালের ৩০ জুন তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তার পর তাঁকে দলের বাইরে রাখা হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ নিয়ে যুবি বলে গেলেন, ''আমাকে একবারের জন্য বলা হয়নি যে দলের বাইরে রাখা হবে। এই পদ্ধতিটাই ভুল। আমার জায়গায় যে কোনও ক্রিকেটার থাকলেই কষ্ট পেত। আমি এতগুলো বছর দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলেছি। আমার সঙ্গে একবার বসা উচিত ছিল। বসে বলা উচিত ছিল যা বলার। জাহির খান, শেহবাগকেও কেউ বলেনি। এটাই ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ম।''
যুবি আরও বললেন, ''আটটা বা নটা ম্যাচের মধ্যে আমি দুটোতে সেরা ক্রিকেটার হয়েছি। তার পর দল থেকে বাদ পড়ব এটা স্বপ্নেও ভাবিনি। শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য আমাকে প্রস্তুত থাকতে বলা হল। তার পর ইয়ো ইয়ো টেস্ট হল। ৩৬ বছর বয়সে আমি ইয়ো ইয়ো টেস্টের জন্য নিজেক প্রস্তুত করলাম। পাশও করলাম। কিন্তু দল থেকে বাদ দেওয়া হল আচমকাই। বুঝিয়ে দেওয়া হল, তোমাকে এবার ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হবে। ওরা ভেবেছিল আমি এই বয়সে আর ইয়ো ইয়ো টেস্ট পাশ করতে পারব না। তা হলে আমাকে বাদ দিতে ওদের সুবিধা হত। কিন্তু আমি পাশ করে যাই।''
রোহিত শর্মাকে নিয়েও কথা বললেন যুবি। বললেন, ''আরও অনেক আগে রোহিতকে টেস্টে ওপেন করানো উচিত ছিল। এতদিন পর ওকে কেন টেস্ট ওপেনার হিসাবে ভাবা হচ্ছে বুঝলাম না।''