Zakaria Street Food Tour: জাকারিয়া গেলে কোথায় কী খাবেন, রইল সুলুকসন্ধান, জেনে নিন সব
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পবিত্র রমজান (Ramadan 2023) মাস চলছে এখন। আর এই সময়টায় কলকাতার ফুড ব্লগার থেকে শুর করে ইউটিউবার এবং অবশ্যই ফুড লাভার্সরা দলে দলে ছুটে আসেন যে জায়গায়, তার নাম জাকারিয়া স্ট্রিট (Zakaria Street)। নাখোদা মসজিদকে (Nakhoda Masjid) ঘিরে, রবীন্দ্র সরণি (Rabindra sarani) জুড়ে চিৎপুর এলাকা একেবারে জমজমাট। বিকেলের পর থেকে আলাদাই মৌতাত। গেলে মনে হবে যেন এখানে বিরাট ফুড ফেস্টিভাল চলে। আর খাওয়ারের চেয়ে বড় ধর্ম যে আর কিছুই হতে পারে না, তা এখানে আসলে ভীষণ ভালো ভাবে টের পাওয়া যায়। জাকারিয়া বললেই অ্যাডামস' কাবাব (Adam's Kabab), আল বাইক (Al Baik), তসকিন (Taskeen) ও দিল্লি সিক্সের (Dilli 6) নামগুলো ভেসে ওঠে। তবে এরকম অনেকেই আছেন, যাঁরা খেতে ভালোবাসেন কিন্তু রমজান মাসে কখনও জাকারিয়াতে ঢুঁ মেরে উঠতে পারেননি। দুর্দান্ত কাবাব থেকে শুরু করে হালিম হয়ে, নানা স্বাদের ব্রেড ও ডেজার্টের জন্য জাকারিয়াতে আসতেই হবে আপনাকে। জাকারিয়া গেলে কোথায় কী খাবেন, রইল সুলুকসন্ধান, জেনে নিন সব।
১৬০ বছরের এই পুরনো দোকানে এসে খেতেই হবে সুতা ও বোটি কাবাব। সুতা বা সুতলি কাবাব কিন্তু অ্যাডামসের সিগনেচার ডিশ।
আল বাইকে এসে অর্ডার দিন- চিকেন স্পেশাল কাবাব ও চিকেন মালাই কাবাব। স্বাদ একেবারে মুখে লেগে থাকবে।
দিলশাদে এসে অর্ডার দিয়ে ফেলুন মালাই কাবাব ও দই কাবাব। অন্যরকম ভালোলাগাই পাবেন।
তসকিনে এসে মুচমুচে ডাবল ফ্রায়েড মুর্গ চঙ্গেজিতে মজে যান। সঙ্গে নিন মাহি/ফিশ আকবরি (কাতলা মাছ ভাজা)। এখানকার ফালুদারও বেশ নামডাক।
হাতে তুলে নিন এক প্লেট আফগানি চিকেন। সঙ্গে শিরমল। চিকেনের গ্রেভিতে যখন শিরমল চুবিয়ে খাবেন, তখন মনে হবে 'এই তো জীবন কালী দা'!
কাবাব খেলেই হবে! হালিমও তো খেতেই হবে! এই চত্বরে হালিমের বিশ্বস্ত ঠিকানা সুফিয়া। সাদা বাটিতে গরম গরম চিকেন, মাটন এবং বিফ হালিম! লাজবাব স্বাদ। জিভও আপনাকে ধন্যবাদ দেবে।
এবার মধুরেণ সমাপয়েৎ। চলে আসুন ১০০ বছরের পুরনো এই মিষ্টির দোকানে। হাজি আলাউদ্দিন এসে মুখে দিতেই হবে বত্তিশি হালুয়া (বাহারি ড্রাই ফ্রুটস সহ-৩২ রকমের উপকরণ থাকে বলেই এমন নাম), মাওয়া লাড্ডু ও রমজান স্পেশাল রসমালাই ট্রাই করে দেখতে পারেন। তবে এখানকার গোলাপজাম কিন্তু মাস্ট ট্রাই। মিস করা যাবে না।
এতো গেল ট্র্যাডিশনল ভাবে জাকারিয়ার স্ট্রিট ফুড ট্যুর। তবে এহেন ঐতিহ্য চাইলেই ভাঙতে পারেন। একেবারে রাস্তার খাবারেও কিন্তু ডুব দিতে পারেন। গলা ভেজানোর জন্য রুহ আফজা, মোহব্বত কা শরবত তো রয়েছেই। শিরমল, বাখরখানি মতো বিভিন্ন ব্রেড, লাচ্ছা পরোটা, নান, নানা স্বাদের হালুয়া, শাহি টুকরা আরামসে রাস্তার ধারের কোনও দোকান থেকে খেতেই পারেন। তবে হ্যাঁ, এখানে এসে কিন্তু ওই হাইজিন, অয়েলি ফুড, এই শব্দগুলো একেবারে মাথায় রাখলে চলবে না।