Jamtara Gang Exclusive: সাবধান! KYC আপডেটের নামে প্রতারণার ফাঁদ, জামতাড়া গ্যাংয়ের গোপন ডেরার পর্দা ফাঁস
নিজস্ব প্রতিবেদন: মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার নাম করে ফোন। আর সেই ফোনেই প্রতারণার ফাঁদ। শহরে ফের সক্রিয় জামতাড়া গ্যাং (Jamtara Gang)। প্রতারকদের পর্দা ফাঁস করলেন সাইবার বিশেষজ্ঞ সন্দীপ সেনগুপ্ত (Sandeep Sengupta Cyber Expert)।
বিভিন্ন সংস্থার নাম করে প্রত্যেকদিন আমাদের কাছে বহু ফোন আসে। সেগুলোর সবকটাই যে অপ্রয়োজনীয়, তা কখনই নয়। তবে বহুক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ওই কলের আড়ালেই ঘাপটি মেরে রয়েছে প্রতারক। মানুষের অজ্ঞানতার সুযোগ নিয়ে বা ভুল বুঝিয়ে মুহূর্তে ব্যাঙ্ক থেকে সাফ করে দিচ্ছে গচ্ছিত অর্থ। সম্প্রতি এমনই একটি ফোন পান সাইবার বিশেষজ্ঞ সন্দীপ সেনগুপ্ত (Sandeep Sengupta Cyber Expert)।
একটি মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার নামে তাঁর কাছে ফোন আসে। কেওইসি (KYC) আপডেটের জন্য ফোন করে এক জালিয়াত। Zee ২৪ ঘণ্টাকে সন্দীপ সেনগুপ্ত (Sandeep Sengupta Cyber Expert) জানান, কেওয়াইসি আপডেটের জন্য প্লেস্টোরে গিয়ে 'টিম ভিউয়ার কুইক সাপোর্ট' নামের একটি অ্য়াপ ফোনে ইনস্টল করতে বলে ওই ব্যক্তি। এর সেখানেই ভুল করে বসে প্রতারক।
সন্দীপ সেনগুপ্ত (Sandeep Sengupta Cyber Expert) বলেন, "টিম ভিউয়ার কুইক সাপোর্ট নামের অ্যাপটি আসলে একটি রিমোর্ট ডেস্কটপ টুল। ওটা ফোনে ইনস্টল করে কেউ পিন নম্বর শেয়ার করে, সঙ্গে সঙ্গে ফোনের সম্পূর্ণ নাগাল পেয়ে যাবে প্রতারকরা। এনি ডেস্ক, টিম ভিউয়ারের মতোই কুইক কেওয়াইসিও একটা অ্য়াপ। যা সম্পূর্ণ ভাবে একজনের ফোনের রিমোট অ্য়াক্সেক নিয়ে নিতে পারে। সেক্ষেত্রে মুহূর্তের ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট এবং ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং সংক্রান্ত তথ্য, বিভিন্ন পাসওয়ার্ড, ফোনে থাকা ছবি-ভিডিও-নম্বরের নাগাল পেয়ে যাবে প্রতারক।" সেই তথ্য ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে যতেচ্ছ ভাবে অর্থ গায়েব করতে পারে প্রতারকরা। মুহূর্তে ফাঁকা করে দিতে পারে আপনার কষ্টের উপার্জন।
এই ধরনের প্রতারণার বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞ সন্দীপ সেনগুপ্ত। তিনি জানান, প্রতারণা সংক্রান্ত ফোন পেলেই বিষয়টি পুলিসকে জানান। কোনও ভাবে ফাঁদে পা দিয়ে ফেললে, সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ডাটা অফ করে দিন। সেক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে অর্থ পাচারের আগেই অনলাইন লিঙ্ক নষ্ট হয়ে যাবে। তাঁর সতর্কবার্তা, কোনও সংস্থা তরফেই গোপন তথ্য জানতে চেয়ে বা ওটিপি জানতে চেয়ে ফোন আসে না। এমন কিছু তথ্য চাইলেই বুঝবেন ওটা কোনও প্রতারকের ফোন।
একজন সাইবার বিশেষজ্ঞ হওয়ায় এই ধরনের প্রতারণার ফাঁদের সঙ্গে পরিচিত সন্দীপ সেনগুপ্ত (Sandeep Sengupta Cyber Expert)। প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাই কথা বলতে বলতেই ওই জালিয়াতের গোপন ডেরার খোঁজ বলে করে ফেলেন তিনি। সন্দীপ সেনগুপ্ত জানান, 'ধরা পড়ে গিয়েছে' বুঝতেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রতারক। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্য়ে কলকাতা পুলিসের সাইবার ক্রাইমে অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।
Zee ২৪ ঘণ্টাকে সন্দীপ সেনগুপ্ত (Sandeep Sengupta Cyber Expert) বলেন, "ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার (Jamtara) কাছে ছোট্ট একটা গ্রাম, নাম সামুখ পোখার, সেখান থেকে ফোনটা এসেছিল। পিন কোড হল- 815352।"
ষাটোর্ধ্বদের সঙ্গে শুরু হওয়া বুস্টার ডোজ নিয়েও শুরু হয়েছে প্রতারণা। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নাগরিকদের সতর্ক করেছে কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)।