অত্যাধিক মদ্যপান থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া, সবকিছু নিয়ে মুখ খুললেন মণীষা
ওভারিয়ান ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই ভয়ানক ব্যাধি থেকে ফিরে আসা ভীষণই কঠিন ছিল। তবে তিনি সেই রোগকে জয় করে ফিরে এসেছেন। ক্যান্সার তাঁর জীবনকে কীভাবে বদলে দিয়েছে, সম্প্রতি নিজের আত্মজীবনী মূলক বই 'হিলড'-এ উঠে এসছে এধরনেরই নানান তথ্য।
জয়পুরে আয়োজিত জি জয়পুর লিটারেচার ফেস্টিভ্যালে সেই বইয়ের প্রচারে হাজির ছিলেন মণীষা কৈরালা। এই বইয়ে উঠে এসেছে মণীষার জীবনের নানান তথ্য।
মণীষা কৈরালা সর্বপ্রথম নেপালী সিনেমায় কাজ করার সুযোগ পান। যার জন্য ৫০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। সেই ছবিতে কাজ করার পরই তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি ক্যামেরার সামনে স্বচ্ছন্দ। আর এরপরই নিজের মাকে মুম্বই নিয়ে আসার জন্য ব্ল্যাকমেল করা শুরু করেন মণীষা।
'সওদাগর' ছিল মণীষার জীবনের তৃতীয় ছবি। সাংবাদিক মীনা আইয়ার ছিলেন মণীষার মায়ের বন্ধু তিনিই প্রথম মণীষাকে সুভাষ ঘাইয়ের ছবিতে কাজের চেষ্টা করার কথা বলেন। ছবিতে সই করার পর ঘোড়ায় চড়া, থেকে নাচ সবই শিখতে হয় তাঁকে।
১৯৪২ অ্যা লাভ স্টোরির জন্য স্ক্রিন টেস্ট প্রথমে মণীষাকে পছন্দ হয়নি বিধু বিনোদ চোপড়ার। তবে মণীষা পরিচালককে ফের একটা সুযোগ দেওয়ার কথা বলেন। পরের দিন এসে নিজের ১০০ শতাংশ উজার করে দেন মণীষা। তাঁকে দেখে অবাক হয়ে যান বিধু বিনোদ চোপড়া।
২০১২ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত হন মণীষা কৈরালা। সুস্থ হয়ে ওঠেন ২০১৫ সালে। এই প্রসঙ্গে মণীষা লিখেছেন, তিনি কোনওভাবেই মরতে চাননি। যেদিন জানতে পেরেছিলেন সেদিন সারা রাত ঘুমোতে পারেনি তিনি। চিকিৎসার জন্য যেদিন কাঠমান্ডু থেকে মুম্বই উড়ে এলেন সেদিন সেটা তাঁর কাছে লাইফলাইনের মতো ছিল।
আমি অত্যাধিক মদ্যপান করতাম, সেটা সেলিব্রেশনই হোক, কিংবা হতাশা। তবে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর সব ছেড়ে দিলাম।
মণীষার কথায়, সুস্থ হওয়ার জন্য চিকিৎসক তাঁকে সুস্থ জীবন-যাপনের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
শেষবার সঞ্জু ও লাস্ট স্টোরিজ ছবিতে দেখা গেছে মণীষা কৈরালাকে। অভিনয়ের পাশাপাশি এবার লেখিকা অবতারেও অবতীর্ণ হয়েছেন মণীষা কৈরালা।