নিজস্ব প্রতিবেদন: লর্ডস টেস্টের প্রথম দিনে গোটা দিনই ব্যাটিং করল বৃষ্টি! ২২ গজ থেকে কভার সরানোর সুযোগটাই এল না। একটা ডেলিভারিও হল না, অথচ শেষ হয়ে গেল তিন তিনটে সেশন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারত-ইংল্যান্ড দুই দলই এখন আকাশের দিকে তাকিয়ে। কখন মেঘের চাদোয়া সরবে, আর আলো ঝলমল সকালে শঙ্খনিনাদের সঙ্গে শুরু হবে মহারণ।


ফাঁস হয়ে গেল দ্বিতীয় টেস্টে ভারতীয় দলের তালিকা


এমনিতে লর্ডস বরাবরই ব্যাটসম্যানদের বিচরণ ভূমি। তবে মেঘলা পরিবেশ আর বৃষ্টিস্নাত দিনে এই লর্ডসই হয়ে উঠতে পারে বোলারদের স্বর্গরাজ্য। আর সেটা হলে ভারতের জন্য তো বটেই, তা মাথা ব্যথার কারণ হবে ব্রিটিশ ব্যাটসম্যানদেরও। এমন অবস্থায় টসে জিতে প্রথম ব্যাটিং করার সাহস হয়ত দেখাবে না কোনও অধিনায়কই। তবে হ্যাঁ, আজকের দিনটা-কে মাথায় রেখে একটা চান্স নিতেও পারেন বিরাট কোহলি। ভাগ্য সদয় হলে আজই ম্যাচের রাশ বিরাটের হাতে তুলে দিতে পারেন ক্রিকেট দেবতাও! নিশ্চয়ই ভাবছেন, কেন এমনটা বলছি? বলছি, কারণ আজ ১০ অগাস্ট।


বিরাটের মধ্যে সচিন-লারা-কে খুঁজে পাচ্ছেন স্টিভ ওয়া


বছর এগারো আগের কথা। ২০০৭, ইংল্যান্ডে সিরিজ খেলতে এসেছে ভারত। কোথাও কিছু নেই হঠাত্ শতরান করে বসলেন অনিল কুম্বলে। ওটাই ছিল কোহলির ‘প্রাক্তন স্যার’, অনিলের প্রথম এবং শেষ টেস্ট শতরান। ভারতীয় দলের ব্যাটিং লাইনে তিনি ছিলেন ৮ নম্বর ব্যাটসম্যন। আর তাঁর পরেই ছিলেন তিন স্পিডস্টার জাহির, আরপি সিং আর শ্রীসন্থ। এই তিনকে সঙ্গী করেই লন্ডনের ওভালে শতরান করেছিলেন অনিল কুম্বলে। আর সেটা ছিল ১০ অগাস্টেই।


ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে তিনিই হলেন সবথেকে বুড়ো ক্রিকেটার, যিনি ৩৬ বছর ২৯৬ দিনের মাথায় লাল বলের ক্রিকেটে শতরান করেছেন। এই নজির আর কোনও ভারতীয় ক্রিকেটারের নেই।


পূজারা কি লর্ডস টেস্ট থেকেও বাদ?


১৯৩ বলে অপরাজিত ১১০, অনিলের চওড়া ব্যাটেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রানের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পৌঁছে ছিল ভারত। স্কোর ছিল ৬৬৪। ব্রিটিশ দেশে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এটাই ভারতের সর্বোচ্চ স্কোর। যা এখনও অটুট। ম্যাচে ৫টি উইকেটও ছিল কুম্বলের। যদিও ওভালের সেই টেস্ট  ড্র-ই হয়েছিল, তবে সেবার পতৌদি ট্রফি জিতেছিল ভারত-ই। তিন ম্যাচের সিরিজ ১-০-তে জিতে ফিরেছিল রাহুলের ভারত।


     


এবারও কি সেটা হবে? ১-০-তে পিছিয়ে থেকেও কি সিরিজে কব্জা করতে পারবে বিরাট ভারত? উত্তরটা এত সহজে না মিললেও একথা সবাই মানছে, কামব্যাক করতে হলে বিরাটের দলে দরকার ‘অনিলায়ন’। অর্থাত্ সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, ব্যাটে বড় রান তোলো, আর বলে উইকেট তুলে নাও। যেটা একসময় করেছিলেন অনিল কুম্বলে।