নিজস্ব প্রতিবেদন : একটা-দুটো নয়। ২১টি নো বল। কিন্তু একটাও নজরে পড়ল না আম্পায়ারের। কী কাণ্ড! অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান সিরিজের প্রথম টেস্টে একের পর এক নো বল দেখলেনই না আম্পায়াররা। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের প্রথম দুই সেশনে হল ২১টি নো বল। আম্পায়ার অবশ্য একটিও নো বল কল করলেন না। বোলাররা একের পর এক ডেলিভারি করে গেলেন লাইনের বাইরে পা রেখে। আর আম্পায়াররা সব দেখেও যেন চোখ বুজে রইলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টেস্টের প্রথম দিন পাকিস্তানের মহম্মদ রিজওয়ানকে নো-বলে আউট করেছিলেন প্যাট কামিন্স। টিভি রিপ্লেতে পরে দেখা যায়, কামিন্সের বুটের কোনও অংশ লাইনের পিছনে ছিল না। ধারাভাষ্যকার থেকে শুরু করে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের অনেকেই আম্পায়ারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এর পর দ্বিতীয় দিন বিতর্ক বাড়ল। গাব্বা টেস্টের দ্বিতীয় দিন পাকিস্তানের বোলাররা ২১টি নো বল করলেন। আম্পায়াররা দেখেও যেন এড়িয়ে গেলেন। টেস্ট ক্রিকেটকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আইসিসি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। দর্শকদের মধ্যে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে উত্সাহ জাগাতে চেষ্টা করছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। এদিকে টেস্ট ম্যাচে এভাবে নিম্নমানের আম্পায়ারিং চলছে!


আরও পড়ুন-  ‘দাদাই ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ সৌরভের ‘গোলাপি অভ্যর্থনায়’ মুগ্ধ ক্রিকেটপ্রেমী থেকে সেলেব্রেটি



অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান সিরিজের অফিসিয়াল ব্রডকাস্টার ‘চ্যানেল সেভেন’ নো-বল-এর একাধিক ফুটেজ তুলে ধরেছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার ও চ্যানেল সেভেন-এর ক্রিকেট বিশ্লেষক ট্রেন্ট কপল্যান্ড আম্পায়ারদের এমন ভুলকে ‘ ক্রিকেটের বড় ইস্যু’ বলেছেন। এদিন সকালের সেশনে ডেভিড ওয়ার্নারকে আউট করেন পাকিস্তানের ১৬ বছর বয়সী পেসার নাসিম শাহ। সেটাও নো বল ছিল। ফিল্ড আম্পায়ারের চোখ এড়িয়ে যায়। শেষমেশ টিভি আম্পায়ার তাঁদের ভুল শুধরে দেন। ওয়ার্নার এদিন ১৫১ রানের ইনিংস খেলেন। অস্ট্রেলিয়া ৫৮০ রান করে ডিক্লেয়ার করে। পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়ে যায় ২৪০ রানে। এর পর ফের ব্যাটিং করতে নেমে পাকিস্তানের স্কোর আপাতত তিন উইকেট হারিয়ে ৪২ রান।