ওয়েব ডেস্ক: কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত, আউট। সিধু, আউট। রানের খাতা দুই সংখ্যায় পৌঁছানোর আগেই উইকেট খসল দুই। পরপর পতন ভারতের তিন স্তম্ভ সঞ্জয় মাঞ্জেরেকর, মহম্মদ আজহারুদ্দিন, মনোজ প্রভাকর...ব্যাট করতে নামল ১৬ বছরের এক কিশোর। মাথায় তখনও হেলমেটের যুগ আসেনি। বিপক্ষ দলে তখন ইমরান খান, ওয়াসিম আক্রাম, ওয়াকার ইউনিস। যাঁদের রান-আপ, গতি আর সুইংয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের পা কাঁপতো। ছোট্ট ছেলেটাকে দেখে তখনও বিশ্ব বোঝেনি, ইনিই ক্রিকেটের প্রতিশব্দ হয়ে উঠবেন। প্রথম ইনিংস, ২৪ বলে ১৫ রান। ২২ গজে সময় কাটিয়েছিলেন মাত্র ২৮ মিনিট। চার মেরেছিলেন মাত্র ২টি। সচিন বোল্ড আউট বাই ওয়াকার। বিশ্ব তখনও বোঝেনি। সময় এগিয়েছে যত সচিন হয়েছেন মাস্টার। দ্য ক্লাসিক। বাকিটা তো রূপকথার মত, গায়ে কাঁটা দেওয়া পরিসংখ্যান, রোম্যান্টিকতা, আবেগ, সব ছাপিয়ে যাওয়া একটা ২৭ বছরের ইনিংস। বিশ্ব আজ বোঝে, ১৫ নভেম্বর, ১৯৮৯, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জন্ম নেওয়া সেই ছেলেটাই ক্রিকেটকে আলাদা উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


সেদিন ওই ২২ গজে ২৮ মিনিট কাটানো ১৬ বছরের তরুণ জীবনের ২৭টি বছর দিয়েছেন ক্রিকেটে। সেদিন ওয়াকারের বলে বোল্ড, ভোলেননি সচিন। পাল্টা জবাব ছিল স্কোয়ার কাট করে ছয়। বিশ্বকাপের মঞ্চে তো সচিনকে বল করতেই ভয় পেয়েছিলেন বিশ্বের সবথেকে দ্রুত গতির ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার।    


 


নভেম্বর। বিপ্লবের মাস। এই মাসেই আজ থেকে ২৭ বছর আগে ক্রিকেট পেয়েছিল এক যোদ্ধাকে। ক্রিকেট যত এগিয়েছে যোদ্ধা যুদ্ধে যুদ্ধে হয়ে উঠেছেন বীর। আজ তিনি ক্রিকেটের ঈশ্বর। স্যার সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। আজই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল সচিনের। 


 


আজ সচিনের বয়স ৪৩ বছর ২০৫ দিন। জীবনের অর্ধেকেরও বেশি দিন ক্রিকেট মাঠ, প্র্যাকটিস, ২২ গজের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তাঁর। সংসার বলতে সচিনের সঙ্গে ২৭ বছর ঘর করেছে ক্রিকেট। বিছানা হয়েছে কখনও ২২ গজ, কখনও বা সবুজ ঘাস। বালিশ হয়েছে ব্যাট আর প্যাড। সচিন আজ ক্রিকেটে নেই, বরং ক্রিকেট আরও বেশি করে আছে সচিনেই। 


 


নভেম্বর ১৫, ১৯৮৯ সাল। পাকিস্তানের করাচিতেই অভিষেক হয় ভারতের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানের। ২০০ টেস্ট খেলা একমাত্র ক্রিকেটার, বিশ্বের একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টি সেঞ্চুরির মালিক, তাঁকে আজ এই দিনে কোটি কোটি প্রণাম।