AIFF Election: ৩৩-১ ব্যবধানে বাইচুং ভুটিয়াকে হারিয়ে ফেডারেশনের নতুন সভাপতি কল্যাণ চৌবে
AIFF Election: শেষ বেলায় মনোনয়ন জমা করে নির্বাচনের উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় ফুটবলের আইকন। কিন্তু লাভ হল না। কল্যাণ মাত্র ৩৩টি ভোট পেয়েছেন। সেখানে বাইচুংয়ের ঝুলিতে এসেছে মাত্র ১টি ভোট!
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিসিসিআই-এর (BCCI) পর এ বার ফুটবল হাউসের (Football House) 'হট সিট'-এও বঙ্গ সন্তান। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুড়ে গেল কল্যাণ চৌবের (Kalyan Chaubey) নাম। শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশামতোই সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (All India Football Fedaration) সভাপতি (President) হলেন কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chaubey)। শুক্রবার নির্বাচনে বাইচুং ভুটিয়াকে (Bhaichung Bhutia) ভোটাভুটিতে হারিয়ে দিলেন তিনি।
এআইএফএফ-এর (AIFF) ৮৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম প্রাক্তন কোনও ফুটবলার সভাপতি পদে বসলেন। শেষ বার বাঙালি সভাপতি হয়েছিলেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। কল্যাণ যে সভাপতির আসনে বসবেন সেটা জলের মতো পরিষ্কার ছিল। যদিও শেষ বেলায় মনোনয়ন জমা করে নির্বাচনের উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় ফুটবলের আইকন। কিন্তু লাভ হল না। কল্যাণ মাত্র ৩৩টি ভোট পেয়েছেন। সেখানে বাইচুংয়ের ঝুলিতে এসেছে মাত্র ১টি ভোট!
যদিও বাইচুং ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের পরোক্ষ সহযোগিতাতেই নির্বাচনে জয়ী কল্যাণ। যদিও ভারতের প্রাক্তন গোলকিপার যে বেশি ভোট পেয়ে মসনদে বসবেন সেই ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল। ভোটে যতই লড়তে হোক, সভাপতি পদে কল্যাণ যে অনেক বেশি ভোট পাবেন, এটা নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ ছিল না। বেশির ভাগ রাজ্য সংস্থার সমর্থন ছিল তাঁর দিকেই। ভোটের অনেক আগে থেকেই রাজ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করে তাদের সমর্থন আদায় করে নিয়েছিলেন কল্যাণ। ভোটের ফলেও তাঁর ইঙ্গিত মিলেছে। তাই তো ৩৩-১ ব্যবধানে বাইচুংকে হেলায় হারিয়ে দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: Virat Kohli & Kishore Kumar : 'গানের রাজা' কিশোর কুমারের ‘গৌরী কুঞ্জ’-এ রেস্তরাঁ খুলছেন 'কিং কোহলি'
ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে তাঁর নিজের রাজ্য সংস্থা সিকিমই সমর্থন করেনি। তিনি লড়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশ ফুটবল সংস্থার হয়ে। সমর্থন করেছিল রাজস্থান ফুটবল সংস্থা। অন্য দিকে, কল্যাণ দাঁড়িয়েছিলেন গুজরাত রাজ্য সংস্থার হয়ে, যে রাজ্যের বাসিন্দা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কল্যাণ নিজেও বঙ্গ বিজেপির সক্রিয় সদস্য। ফলে রাজনৈতিক ভাবে সমস্ত সমর্থন ছিল তাঁর দিকেই।
ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে রাজনীতির মানুষদের যোগ সেই আটের দশক থেকে। ১৯৮৮ সালে প্রথম রাজনীতিক হিসেবে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হন কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি। প্রায় দুই দশক ধরে এআইএফএফ-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলানোর পর অসুস্থ হয়ে পড়েন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। ভারতীয় ফুটবলে শুরু হয় প্রফুল প্যাটেলের জমানা। রাজনৈতিক পরিবেশে বড় হওয়া প্রফুল ১৯৯১ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে জেতেন। চলতি বছরের ১৮ মে সুপ্রিম কোর্ট প্রফুল ও তাঁর দলবলকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে সিওএ-কে ফেডারেশনের কাজকর্ম দেখার দায়িত্ব দেয়। তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপে গত মাসে ফিফার নির্বাসনের মুখে পড়তে হয় এআইএফএফ-কে। অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন তখন অগাধ জলে। তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপ এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ফেডারেশনের নির্বাচন না হলে নির্বাসন উঠবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা। কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে প্রশাসক কমিটি সরানোর এআইএফএফ-এর উপর থেকে নির্বাসন তোলে ফিফা। অতঃপর ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন পেয়ে গেল নয়া সভাপতিকেও।