ওয়েব ডেস্ক: ২ ঘণ্টা ৯ মিনিট ৫৪ সেকেন্ড। একটানা দৌড়ের পর অলিম্পিকে রূপো জেতা নিশ্চিত করলেন। এমন সময় খুশিতে আত্মহারা হওয়ার কথা। তবে ইনি হলেন না। বরং এমন এক কাজ করলেন, যা করার জন্য তাঁকে জেলেই যেতে হবে। তবু তিনি প্রতিবাদের পথ থেকে সরে এলেন না। তিনি হলেন অলিম্পিকে সবচেয়ে ঐতিহ্যের ইভেন্ট ম্যারাথনে রূপো জয়ী ইথিওপিয়ার ফিয়সা লিলেসা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লিলেসা ম্যারাথন শেষ করার ঠিক পরেই হাতটা ক্রশ করে দেশের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন। পোডিয়ামে দাঁড়িয়েও একই কাজ করলেন। ম্যারাথনে সোনা জয়ী কেনিয়ার ইলিউড কিপচোগকেও যেন ম্লান করে দিলেন লিলেসা।  ২৬ বছরের তারকা এই দৌড়বিদ লিলেসা প্রতিবাদের স্বরে বলেন, ''ইথিওপিয়ার সরকার আমাদের দেশের নিরপরাধ মানুষদের খুন করছে। তাই আমি যেখানেই পারব প্রতিবাদ করব।''প্রসঙ্গত, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় ম্যারাথনে রূপোজয়ী এই দৌড়বিদের আত্মীয়রা জেলে রয়েছে। লিলেসা হলেন ওরোমা জনজাতিগোষ্ঠীর লোক। ইথিওপিয়ায় পিছিয়ে পড়া এই জাতির মানুষরা বঞ্চনার প্রতিবাদে সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত জেহাদ ঘোষণা করেছে। ইথিওপিয়ায় ওরোমা জনজাতী গোষ্ঠীর বহু লোকেরা বিদ্রোহে প্রাণ হারিয়েছেন, অনেকে আবার আছেন জেলের অন্ধ কুঠুরিতে।


আরও পড়ুন- জানেন রিও অলিম্পিকে ক'টা দেশ কোনও পদকই পেল না



অন্যান্য বিভিন্ন দেশে যেমন অলিম্পিকে পদক জিতে দেশে ফিরলে বীরের মর্যাদা সংবর্ধনা জানানো হয়। লিলেসার ক্ষেত্রে কিন্তু তেমন ঘটবে না। দেশের নিয়ম অনুযায়ী সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহের চিহ্ন দেখানোয় তাঁকে দেশে ঢুকলেই গ্রেফতার করে জেলে নিয়ে যাওয়া হবে। লিলেসা আমেরিকায় আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন।  



মজার কথা হল, আফ্রিকার নানা দেশের মতই ইথিওপিয়ায় অলিম্পিক কিংবা যে কোন খেলাধুলোয় সবচেয়ে জনপ্রিয় ইভেন্ট হল ম্যারাথন। আমাদের দেশে যেমন ক্রিকেট আর কী। অথচ ম্যারাথনের ঠিক যে মুহূর্তে লিলেসা দৌড় শেষ করলেন, সেই সময়টা তাদের দেশের সরকারী চ্যানেলে দেখানো হয়নি। কারণ তার দেশের সরকার বিদ্রোহের ওই সময়টা কেটে দেয়।  



আট বছর ধরে ইথিওয়াপিয়ার জার্সিতে লড়ে ম্যারাথনে নানা পুরস্কার জিতেছেন। সবচেয়ে কম সময়ে ম্যারথন শেষ করার রেকর্ডও তার দখলে।