1983 World Cup: `কেউ বিশ্বাস করতে পারেননি ভারত বিশ্বকাপ জিততে পারে`
ক্রিকেটের মক্কায় ভারতের সূর্যোদয়। তিরাশিতে ভারতের বিশ্বজয়ের পর ৩৯ বছর পারে। জি ২৪ ঘণ্টার এডিটর গৌতম ভট্টাচার্যের সঙ্গে আলাপচারিতায় বললেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক মালহোত্রা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্রিকেটের মক্কায় ভারতের সূর্যোদয়। তিরাশিতে ভারতের বিশ্বজয়ের পর ৩৯ বছর পার। 'কেউ বিশ্বাস করতে পারেননি ভারত বিশ্বকাপ জিততে পারে', জি ২৪ ঘণ্টার এডিটর গৌতম ভট্টাচার্যের সঙ্গে আলাপচারিতায় বললেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক মালহোত্রা।
বার্বিসে প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারায় ভারত। ম্যাচে ৯০ রানে একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন সুনীল গাভাসকর। তৎকালীন সময় মাত্র ৩৮ বলে ৭২ রান করেছিলেন কপিল দেব। কেমন ছিল সেই ম্যাচ? জি ২৪ ঘণ্টার '৪০-এ পা তিরাশির' অনুষ্ঠানে অশোক মালহোত্রা বলেন, "১৯৮৩-র যে বিশ্বকাপ জয়, তার ভিত তৈরি হয়েছিল বার্বিসে। সানি অসাধারণ ৯০ করল। কপিলও দারুণ খেলল। কারও বিশ্বাসই ছিল না যে আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে পারি। ওই ম্যাচ থেকে বিশ্বাসটা তৈরি হল যে, আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে পারি। আমরা জিততে পারি"। তাঁর স্মৃতিতে ধরা দিল, "সে দিন দোল ছিল। গায়নাতে প্রচুর ভারতীয় আছে। হেলিকপ্টার করে মাঠে নামলাম। আমার দোল খেললাম। তারপর খেলা শুরু হল। কপিল বলেছিল, ম্যাচ তো জিতে গিয়েছি। এখন কী হবে? এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ কী করবে, সেটা তখন চিন্তার বিষয় ছিল।"
আরও পড়ুন: 1983 World Cup: কোচ না থাকাই ছিল ভারতের অ্যাডভান্টেজ! বলছেন কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত, দেখুন ভিডিও
সেই ক্যারিবিয়ান সফরের আরও একটি অজানা দিক তুলে ধরলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। অশোক বলছিলেন, "সবাই বডিলাইন সিরিজের কথা বলে, তবে বিশ্বকাপের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে আমাদের সেই সফর বডিলাইন সিরিজের থেকে কিছু কম ছিল না। ক্লাইভ লয়েডের চার অনবরত রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বল করে যেত। সঙ্গে ছিল ওভারে ছয়টি করে বাউন্সার। ড্রেসিংরুমে ফেরার পর আমরা জার্সি খুলে একে অন্যের গায়ে রক্তের জমাট বাধা দাগ দেখতাম।" কিছুক্ষণ পরেই ফের যোগ করলেন, "সেই সফরের একটা ম্যাচে ম্যালকম মার্শালের একটি বাউন্সার সানির মাথায় এসে লাগল। তবে সানি ঘাবড়ে যায়নি। পরের বলে ও ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করে। আমরা কেউ সেই সিরিজে শতরান কিংবা অর্ধ শতরানের কথা ভাবিনি। কীভাবে সেই ভয়ঙ্কর বোলিং লাইনআপ থেকে বাঁচব সেই চিন্তায়। মহিন্দর অমরনাথও বুক চিতিয়ে ব্যাট করেছিল সেই সিরিজে। তাই '৮৩ বিশ্বকাপ জয়ের পটভূমি হিসেবে এর আগে ক্যারিবিয়ান সফরকে ভাবা যেতেই পারে।"
অশোক ৮৩-র বিশ্বকাপে খেলেননি। বিশ্বকাপের পরেই ভারতে খেলতে এসেছিলেন ক্লাইভ লয়েড, ভিভ রিচার্ডসরা। সেই 'বদলার সিরিজ'-এ খেলেছিলেন অশোক। 'কপিলস ডেভিলস'-র (Kapils Devils) সদস্যদের খুব কাছ থেকে দেখেছেন। তখন বলা হত, সন্ধে ৬টার পর নাকি পাল্টে যেত সন্দীপ পাতিলের হাঁটা! এটা কি সত্যি? অশোক জানালেন, "বোহেমিয়ান ছিল। ও, রবি (রবি শাস্ত্রী) জীবনটাকে দারুণ উপভোগ করত। সবার থেকে আলাদা ছিল। টিমে এরকম চরিত্রের দরকার হয়।" অনুষ্ঠানে অসাধারণ অভিজ্ঞতাই ভাগ করে নিলেন অশোক।